‘মিথ্যে কুমারীত্ব’ প্রমাণে কৃত্রিম রক্ত!

কলকাতা টাইমস :
কুমারীত্বের প্রমাণ এবার প্যাকেটবন্দি। নাম তার ‘আই ভার্জিন পিল’। স্রেফ এক পিলেই শরীরে জমে যাবে পরিমাণ মতো থকথকে ‘নকল’ রক্ত। প্রথম সঙ্গমের পরেই যা সতীচ্ছদ ভেদ করে বেরিয়ে আসবে ‘মিথ্যে’ কুমারীত্বের ‘প্রয়োজনীয়’ প্রমাণস্বরূপ!
অ্যামাজনের এই পণ্য বিক্রির খবর জানতে পেরেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিশিষ্ট মানুষজন। বিরোধিতায় পিছিয়ে নেই আমজনতাও।
প্রথম শারীরিক মিলনের রাতে মেয়েটিকে রক্তাক্ত হতেই হবে— এ সংস্কার শুধুই তৃতীয় বিশ্বের নয়, বরং অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশই এই ‘ট্যাবু’ বহন করে এসেছে যুগের পর যুগ। কখনও সরাসরি, কখনও ঘুরপথে। বিভিন্ন সময়ে নানা ধর্মীয় ভাবাবেগ ও কুসংস্কারকে শিখণ্ডী করে এমন প্রথাকে ‘নিয়ম’ বলে দেগে দিয়েছে সমাজের একাংশ।
ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তো বটেই, এমনকি শহরে মানুষের কারও কারও মনের মধ্যে ঘাপটি মেরেছিল এমন প্রমাণ দেওয়ার খেলা। সেই খেলা যে অতীতে হারিয়ে যায়নি, তাই কি প্রমাণ করছে অ্যামাজনের এমন পণ্যের কেনাবেচা?
সমাজবিদ বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, এই ধরনের পণ্য আরও এক বার যৌন স্বেচ্ছাচার ও যৌন অধিকারের দ্বন্দ্বে জিতিয়ে দিল পুরুষের স্বেচ্ছাচারী দাবিকে।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মৃদুলা হাজরা বলেন, ওষুধের সংস্থা যাই দাবি করুক না কেন, সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এমনটা কখনও বলা যায় না। নকল এই রক্ত শরীরে ধারণ করায় অনেকেরই নানা অ্যালার্জি, সংক্রমণ ও প্রদাহের ভয় থাকে। শরীর অনুপাতে সেই আশঙ্কা বাড়ে-কমে।