November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম সফর

অমরকন্টক স্মৃতি

[kodex_post_like_buttons]

বিপ্লব মজুমদার:

র্মদার মন্দিরের দক্ষিণ দিকে একটা রাস্তা উপরেের দিকে চলে গেছে l সেই চড়াই এর পথ ধরে এগিয়ে চলেছি l দুপাশে কাঁটাঝোপঝাড়ের জঙ্গল l রাস্তা লোকশূন্য l খানিক চড়াই এর পর এবার সমতল l শাল সেগুন জাতীয় গাছের সমাহার l মিনিট পনেরো হাঁটার পর একটা গ্রাম পেলাম l আদিবাসী দের গ্রাম l একজনকে শুুনলাম ধূনীপাানি রাস্তা কোনদিকে l রাস্তার দিশা পেয়েে এগিয়ে চললাম l এবার শাল সেগুুনের নিবীড় গভীর জঙ্গলে এসে পড়লাম l ঝরাপাতায় রাস্তা চেনা দায় l

পাশ দিয়ে হুট করে এক শিয়াল চলে গেলো l জুন মাসের তীব্র দাবদাহ চলছে l কিন্তু এর মধ্যেও বনে যথেষ্ট ঠান্ডা l সূূর্যের আলো কম প্রবেশ করছে l একঘন্টা হাঁঁটার পর এসে পৌছালাম ধুঁনীপানিতে l পাঁচ ছয় জন লোক বসে বসে ভোলারামের ( গাঁজা) সেবায় ব্যস্ত l একটা বড়ো পাঁকা ঘর রয়েছে l আশেপাশে নানারকম ফলের গাছ l ঘরের ভিতরে ঠিক মাঝ খানে ধুঁনী l ধীকধীক করে জ্বলছে l একপাশে মা নর্মদার অপরূপ মূর্তি l এটাই মহর্ষি ভৃগু র তপোভূমি l মহর্ষি হলেন যজ্ঞ সম্ভব ঋষি l ভার্গব বংশের প্রতিিষ্ঠাতা l সপ্তর্ষিদের একজন l ব্রহ্মার মানস পুত্রর l ঋকবেদ থেকে জানা যায় অগ্নি হব্য বাহক দেবতাদের নিকট নিরন্তর হব্য বহন করেন l ভৃগু র তপবলে প্রসন্ন হয়ে মাতরিস্বা স্বয়ং সেই দিব্য অগ্নিকে মর্ত্যে আনয়ন করলেন l

আমি এখন সেই মহান ঋষি র সাধন স্থলে বসে আছি l মন বিবশ হয়ে আছে l অপার্থিব শান্ত বাতাবরণ l অনেকক্ষন নিস্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম l দিনাসাধুর ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলাম l না না ভুল ব￰রং বলা ভালো অজ্ঞানে ফিরলাম l উঠে পড়লাম l চড়াই এর পথ ধরলাম l আধঘন্টা হেঁটে এসে পৌঁছালাম ভৃগু কমণ্ডলু তে l পাহাড়ের গায়ে একটা ছোট গুহামুখ l পুরো পাথরটা ঠিক একটা কমণ্ডলুর মতো দেখতে l অদ্ভুত আশ্চর্য অবাক হয়ে গেলাম l সামনেই একটা মহর্ষি পূজিত শিবলিঙ্গ l প্রণাম করে কমণ্ডলুর ভিতরে হাত দিলাম l ভিতরে জল থৈ থৈ করছে l কিছুটা জল নিয়ে শিবলিঙ্গ তে ঢাললাম l অনেকক্ষন চুপ করে বসে ছিলাম l নাগাসাধুর ডাকে উঠে এলাম l উনি চা খেতে ডাকলেন l

বলতে ভুলে গেছি এখানে এক নাগাসাধু থাকেন l চা খেয়ে কুটির থেকে বেরিয়ে দেখি সূর্য পশ্চিমা l ঘন অরণ্যের কালচে সবুজাভ রঙের উপর পড়ন্ত সূর্যের আলোয় সমস্ত বিন্ধ্য এক মোহময়ী রূপ নিয়ে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো l আমি মোহাবিষ্টের মতো কতক্ষন ছিলাম মনে নেই ,নাগাসাধু বললেন এবার না ফিরলে রাতে জঙ্গলে সমস্যা হবে l মনে হচ্ছিলো আরো থাকি l ফিরে এলাম আবেশ নিয়ে l ……… অমরকণ্টক মা নর্মদার মন্দিরের দক্ষিণ দিকে একটা রাস্তা উপরেের দিকে চলে গেছে l সেই চড়াই এর পথ ধরে এগিয়ে চলেছিি l দুপাশে কাঁটাঝোপঝাড়ের জঙ্গল l রাস্তা লোকশূন্য l খানিক চড়াই এর পর এবার সমতল l শাল সেগুন জাতীয় গাছের সমাহার l মিনিট পনেরো হাঁটার পর একটা গ্রাম পেলাম l আদিবাসী দের গ্রাম l একজনকে শুুনলাম ধূনীপাানি রাস্তা কোনদিকে l রাস্তার দিশা পেয়েে এগিয়ে চললাম l

এবার শাল সেগুুনের নিবীড় গভীর জঙ্গলে এসে পড়লাম l ঝরাপাতায় রাস্তা চেনা দায় l পাশ দিয়ে হুট করে এক শিয়াাল চলে গেলো l জুন মাসের তীব্র দাবদাহ চলছে l কিন্তু এর মধ্যেও বনে যথেষ্ট ঠাান্ডা l সূূর্যের আলো কম প্রবেশ করছে l একঘন্টা হাঁঁটার পর এসে পৌছালাম ধুঁনীপানিতে l পাঁচ ছয় জন লোক বসে বসে ভোলারামের ( গাঁজা) সেবায় ব্যস্ত l একটা বড়ো পাঁকা ঘর রয়েছেে l আশেপাশে নানারকম ফলের গাছ l ঘরের ভিতরে ঠিক মাাঝ খানে ধুঁনী l ধীকধীক করে জ্বলছে l একপাশে মা নর্মদার অপরূপ মূর্তি l এটাই মহর্ষি ভৃগু র তপোভূমি l মহর্ষি হলেন যজ্ঞ সম্ভব ঋষি l ভার্গব বংশের প্রতিিষ্ঠাতা l সপ্তর্ষিদের একজন l ব্রহ্মার মানস পুত্রর l ঋকবেদ থেকে জানা যায় অগ্নি হব্য বাহক দেবতাদের নিকট নিরন্ততর হব্য বহন করেন l ভৃগু র তপবলে প্রসন্ন হয়ে মাতরিস্বা স্বয়ং সেই দিব্য অগ্নিকে মর্ত্যে আনয়ন করলেন l

আমি এখন সেই মহান ঋষি র সাধন স্থলে বসে আছি l মন বিবশ হয়ে আছে l অপার্থিব শান্ত বাতাবরণ l অনেকক্ষন নিস্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম l দিনাসাধুর ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলাম l না না ভুল ব￰রং বলা ভালো অজ্ঞানে ফিরলাম l উঠে পড়লাম l চড়াই এর পথ ধরলাম l আধঘন্টা হেঁটে এসে পৌঁছালাম ভৃগু কমণ্ডলু তে l পাহাড়ের গায়ে একটা ছোট গুহামুখ l পুরো পাথরটা ঠিক একটা কমণ্ডলুর মতো দেখতে l অদ্ভুত আশ্চর্য অবাক হয়ে গেলাম l সামনেই একটা মহর্ষি পূজিত শিবলিঙ্গ l প্রণাম করে কমণ্ডলুর ভিতরে হাত দিলাম l ভিতরে জল থৈ থৈ করছে l কিছুটা জল নিয়ে শিবলিঙ্গ তে ঢাললাম l অনেকক্ষন চুপ করে বসে ছিলাম l নাগাসাধুর ডাকে উঠে এলাম l উনি চা খেতে ডাকলেন l বলতে ভুলে গেছি এখানে এক নাগাসাধু থাকেন l চা খেয়ে কুটির থেকে বেরিয়ে দেখি সূর্য পশ্চিমা l ঘন অরণ্যের কালচে সবুজাভ রঙের উপর পড়ন্ত সূর্যের আলোয় সমস্ত বিন্ধ্য এক মোহময়ী রূপ নিয়ে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো l আমি মোহাবিষ্টের মতো কতক্ষন ছিলাম মনে নেই ,নাগাসাধু বললেন এবার না ফিরলে রাতে জঙ্গলে সমস্যা হবে l মনে হচ্ছিলো আরো থাকি l ফিরে এলাম আবেশ নিয়ে l ………

Related Posts

Leave a Reply