এই ১০ কারণে নাকি আত্মহত্যার পেছনে দায়ী
কলকাতা টাইমস :
কেন বার বার সারা বিশ্বে বেড়ে চলেছে আত্মহত্যার প্রবণতা? কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন যুবক-যুবতীরা? আমরা কি যথেষ্ট সচেতন? দেখে নিন কোন ১০ কারণের জন্য সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।
গভীর অবসাদ: আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। গভীর অবসাদে মানুষ জীবনের প্রতি সম্পূর্ণ উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। মৃত্যুই তখন তাদের কাছে মুক্তির উপায় হয়ে ওঠে।
হতাশা: সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা, ক্রমাগত ব্যর্থতা মানুষকে হতাশার গহ্বরে ঠেলে দেয়। তখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অনেকেই।
ভয়: আমাদের সকলেরই জীবনে কোনও না কোনও কিছুতে ভয় রয়েছে। সেই ভয়ের সম্মুখীন হলে অনেকেই মোকাবিলা করতে পারেন না। তার থেকে বেছে নেন মৃত্যু।
পারফেকশন: অনেকেই জীবনে সেরা হতে চান। অবাস্তব টার্গেট তৈরি করেন। স্বপ্নপূরণ না হওয়ায় মেনে নিতে পারেন না।
অনুতাপ: ভুল সকলেই করেন। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের ধারা। কিন্তু অনেকেই ভুলের জন্য অনুতাপে ভুগতে থাকেন, নিজেকে ক্ষমা করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।
ট্রমা: দুর্ঘটনা, কাছের মানুষের মৃত্যু, শারীরিক নির্যাতনের মতো অভিজ্ঞতা থেকে বেরোতে না পেরে ট্রমায় ভুগতে থাকলে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
মানসিক অসুস্থতা: অনেক সময়ই মানসিক ভাবে অসুস্থ মানুষদের নিয়ে আমরা মজা করি। এদের পাশে দাঁড়ান। মানসিক অসুস্থতা ডেকে আনতে পারে আত্মহত্যা।
স্ট্রেস: জীবনে সফল হতে সকলেই চান, পরিশ্রমও করেন। কিন্তু পারিপার্শ্বিক প্রত্যাশার চাপ পূরণ করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অনেকে।
নেগেটিভ মন্তব্য: নিজের সম্পর্কে তীর্যক মন্তব্য, সমালোচনা, ঠাট্টা-তামাশা শুনতে শুনতে আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকলেও অনেকে এ ভাবে পালিয়ে বাঁচতে চান।
বেকারত্ব: ভাল রোজগার, আর্থিক নিরাপত্তা সকলেই চান। প্রতি বছর বিশ্বে ৪৫,০০০ মানুষ আত্মহত্যা করেন বেকারত্বের কারণে।