November 12, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

শত চেষ্টাতেও চাকরি না জুটলে এই সেরা ১০ পদ্ধতি একবার ট্রাই করুন   !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বেকার জীবন পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী জীবন। সুতরাং জীবনকে সুখময় করতে ভালো চাকরির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বর্তমান যুগে ভালো কোনো চাকরি খুঁজে পাওয়াটা বড়ই দুষ্কর। কারণ এখনকার চাকরির বাজারে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। এখানে টিকে থাকতে হলে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার পাশাপাশি ওই চাকরি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তবে নিম্নের এই চাকরি খোঁজার সেরা ১০টি পদ্ধতি যা বেকারদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
১. পছন্দের চাকরি: নিজের পছন্দের তালিকার চাকরিতে যোগ দিন । কেননা নিজের অপছন্দনীয় কোনো চাকরিটিতে মনোযোগ দিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। সুতরাং কোনো চাকরি নেয়ার আগে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে, যেটি আপনার নিজের পছন্দের চাকরির তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
২. যোগাযোগ রক্ষা করা: পছন্দের চাকরির ধরণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর পরই ওই চাকরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করুন । কেননা ওই ব্যক্তির সাথে যদি ভালো সম্পর্ক থাকে তাহলে তাদের রেফারেন্সের মাধ্যমে চাকরি পাওয়াটা সহজ হয়।
৩. চাকরি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান: কোনো চাকরিদাতাই এমন একজন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ দেবেন না, যিনি ওই চাকরি সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখেন না। সুতরাং ভালো কোনো চাকরি পেতে হলে ওই চাকরি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
৪. নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা: ঘরে এসে ডেকে ডেকে কোনো কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানই চাকরি দিয়ে যাবে না। তাই পছন্দের চাকরি পেতে হলে ওই চাকরিগুলোর প্রতি প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং ইন্টারনেটের সহায়তা নিতে পারেন। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
৫. পরামর্শ মেনে চলা: পছন্দের চাকরি পেতে হলে ওই চাকরিসম্পর্কিত অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তির পরামর্শ নিতে হবে। কেননা সুষ্ঠু পরামর্শ নিলে ওই চাকরি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা নেয়া সম্ভব।
৬. সাক্ষাৎকারে সঠিক উত্তর দেয়া: বেশির ভাগ জবের ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয়। সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি উত্তর না জানা থাকে তাহলে পারি না বা জানি না বলাই শ্রেয়। কারণ ভুল উত্তর দিয়ে প্রশ্নটা কাটিয়ে উঠতে গেলেই বিপদ।
৭. সাক্ষাৎকারে আকর্ষণীয় উপস্থিতি: চাকরিপ্রার্থীকে চাকরিদাতাদের সামনে কখনোই উগ্র মেজাজি হওয়া উচিত নয়। এ জন্য পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে আচার-আচরণ, চলাফেরা এমনকি কথাবার্তার মাধ্যমেও সর্বদা শালীন ভাব প্রকাশ করতে হবে। যাতে চাকরিপ্রার্থীর ওপর চাকরিদাতাদের একটা আত্মবিশ্বাস ও ভালো ধারণা জন্মে।
৮. অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা: সাক্ষাৎকারের পর হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। ভালো সাক্ষাৎকার দিলে যে কোনো সময় চাকরির জন্য ডাক আসতে পারে। এ জন্য চাকরিপ্রার্থীকে ওই অফিসের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রাখতে হবে। অনেকে হয়তো ওই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা একটা কঠিন ও ভয়ের কাজ মনে করে। যার ফলে তারা চাকরি থেকে পিছিয়ে পড়ে।
৯. নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করা: কোনো চাকরি লাভের প্রথম শর্ত হচ্ছে ওই চাকরিতে নিজেকে যোগ্য করে তোলা। ওই চাকরি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক জ্ঞান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কোনো চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রায়ই চার-পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা চায়। আর অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পক্ষে চাকরি সাক্ষাৎকারে টিকে থাকা কিংবা চাকরিতে যোগদান সহজ হয়।
১০. পার্টটাইম চাকরি গ্রহণ:  পার্টটাইম চাকরি গ্রহণ করলে ওই চাকরি সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা বাড়ে। ফলে ওই একই ক্যাটাগরির কোনো চাকরি সাক্ষাৎকারে তাদের টিকে থাকাটা সহজ হয়। অনেকে আছেন যারা পার্টটাইম চাকরি গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক। তাদের ধারণা, এ ধরনের চাকরিতে কোনো লাভ নেই। কারণ যে কোনো সময়ই তাদের চাকরিটি চলে যেতে পারে। অর্থাৎ তাদের নিজেদের কাজের ওপরই নিজেদের আস্থা নেই। এ ধরনের ব্যক্তিরা শুরুতেই বড় পদের চাকরি চায়। এর ফলে তাদের চিরদিনই বেকার জীবন কাটাতে হয় ।

Related Posts

Leave a Reply