মাটি খুঁড়তেই একে একে বেরিয়ে এলো ১৪০ টি শিশুর কঙ্কাল !
নিউজ ডেস্কঃ
পেরুর ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় বেরিয়ে এলো মাটির নিচ থেকে। মাটি খুঁড়তেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন বিজ্ঞানীরা। পেরুর উত্তরে উপকূলীয় অঞ্চলে খননকার্য চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই পাওয়া গেল ১৪০টি শিশুর কঙ্কাল। সঙ্গে ছিল উট পরিবারের লিয়ামান প্রাণীর ২০০টি শাবকের কঙ্কাল। ধারণা করা হচ্ছে, এটা সম্ভবত বিশ্বের ইতিহাসের বৃহত্তম শিশুবলির চিত্র। সেখানে আরো একজন পুরুষ এবং দুজন মহিলার দেহাবশেষ মিলেছে।
এলাকাটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ‘চান চান’ এর বেশ কাছেই অবস্থিত। বলিদানের এই এলাকাটি আগে হুয়ানচাকুইতো-লাস লিয়ামাস নামে পরিচিত ছিল। আজ থেকে সাড়ে পাঁচ শ বছর আগে কলাম্বিয়ান চিমু সাম্রাজ্যের আগে এই শিশুবলির ঘটনা ঘটেছিল বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। যে সমস্ত শিশুদের বলি দেওয়া হয়েছে তাদের বয়স ৫-১৪ বছরের মধ্যে। আর লিয়ামাস প্রাণীর শাবকগুলোর বয়স ১৮ মাসের মধ্যে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবশিশু এবং প্রাণীগুলোর পাঁজরের হাড়গুলো কেটে সরিয়ে ফেলার প্রমাণ মিলেছে। শিশুদের মুখ লালচে রং দিয়ে লেপে দেওয়া হয়েছে।
সম্ভবত, কোনো পুজোআর্চার মধ্য দিয়েই এদের বলি দেওয়া হয়। বুক চিরে হাড়গুলো কেটে ফেলার আগেই তাদের মুখে এই রং লাগানো হয়। সম্ভবত এ কাজ করা হয়েছে তাদের হৃদযন্ত্র বের করে নেওয়ার জন্যে। লিয়ামাসগুলোর ভাগ্যে একই ঘটনা ঘটেছে। শিশুগুলোকে শোয়ানো হয়েছে পশ্চিম দিকে মুখ করে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, মানুষ এবং প্রাণীর বলিদানের ঘটনা একই সময়ে ঘটেছে। আর প্রাপ্তবয়স্ক যে তিনজনের দেহ মিলেছে তাদের মুখে আঘাতের চিহ্ন আছে। তারাও হয়তো বলিদানের অংশ ছিল।