২২ কোটি না দেওয়ায় অপরাধে ১৪১০৭৮ বছরের জেল !
কলকাতা টাইমস :
মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে আদালত যে কঠোর সাজা দিয়েছে যা শুনলে চোখ কপালে উঠার জোগাড়। পৃথিবীতে বেশ কয়েকটি সাজার ঘটনাই ব্যতিক্রম। কয়েকটি ক্ষেত্রে আদালত সাজার প্রচলিত ধারণাই পাল্টে দিয়েছে।
১৪১০৭৮ বছর কারাদণ্ড
বিশ্বের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৮ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল থাইল্যান্ডের চ্যাময় থিপিয়াসোকে। ১৯৮৯ সালের ঘটনা এটি। থাই বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তার স্ত্রী থিপিয়াসো ১৬,২৩১ জন লোকের কাছ থেকে ২০ লাখ পাউন্ড বা ২২ কোটি টাকা নিয়ে আর ফেরত দেননি। এ অপরাধে তাকে এ সাজা দেয় থাইল্যান্ডের একটি আদালত।
অবশ্য তার ভাগ্য প্রসন্ন যে, তাকে অকল্পনীয় এ সাজা ভোগ করতে হয়নি।
১৯৮৯ সালে থাইল্যান্ডের জারি করা একটি আইন অনুসারে কোনো ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ড ভোগ করতে হয় না।
৪২,৯২৪ বছর কারাদণ্ড
২০০৪ সালে মাদ্রিদে বোমা হামলার অভিযোগে স্পেনের সন্ত্রাসী অটম্যান আল-নাওইকে ৪২ হাজার ৯২৪ বছর কারাদণ্ড দেয় স্পেনের একটি আদালত। তার সহযোগী জামাল জৌগামকে দেয়া হয় ৪২ হাজার ৯২২ বছরের কারাদণ্ড।
ওই হামলায় ১৯১ জন মারা যাওয়ার দায়ে এ সাজা দেওয়া হয়। তবে থাইল্যান্ডের মতই স্পেনের আইনেও সর্বোচ্চ কারাবাসের মেয়াদ বেঁধে দেয়া আছে। তবে সে সাজা ৪০ বছর।
৩০,০০০ বছর কারাদণ্ড
যুক্তরাষ্ট্রের চার্লস স্কট রবিনসনের ভাগ্যটা খারাপই বলতে হবে। থাইল্যান্ড বা স্পেনের মত সুযোগ পাবেন না তিনি। ওকলাহোমার পাশবিক নির্যাতনকারী চার্লসকে ৩০,০০০ বছর কারাদণ্ড দেন ডিস্ট্রিক জাজ ড্যান ওয়েনস।
১৯৯৪ সালে ছয়টি অপরাধের প্রতিটিতে তাকে ৫,০০০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়ে রায়ে বলা হয়, তাকে একযোগে নয়, এসব সাজা তাকে খাটতে হবে একটি পর একটিতে।
বিচারক বলেন, তোমাকে সারাজীবন চার দেয়ালের মাঝে থাকার ব্যবস্থা করলাম। আইন অনুসারে ১০৮ বছর বয়স হওয়ার আগে চার্লস প্যারোলের যোগ্য হবেন না।