চুল গজাতে গিয়ে অভিনেতা ‘জাগলেন’ ১৫ দিন পর
কলকাতা টাইমস :
চুল ‘গজানো’ মানে প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে ১৫ দিন অজ্ঞান থাকতে হবে তা সপ্নেও ভাবেন নি পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অভিনেতা ও লেখক সৈয়দ সাজিদ হাসান, চুল প্রতিস্থাপন করাতে গিয়ে খুবই মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি তার ঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : সারাজীবন শুধু আলু খেয়েই কাটিয়ে দিতে পারেন বহাল তবিয়তে, বলছে গবেষণা
তিনি জানিয়েছেন, একজন চিকিৎসক বিগত নয় বছর ধরে আকুতি জানিয়ে আসছিলেন তার কাছ থেকে চুল প্রতিস্থাপন করানোর জন্য। দুই মাস আগে সাজিদ তার অনুরোধ গ্রহণ করেন। অস্ত্রোপচারের পরবর্তি সময়ে কোন ধরণের মেডিকেল টেস্ট না দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বিস্মিত হন।
সাজিদ হাসান জানান, ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া শুরু হবার পরবর্তী দিন থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার মাথায় বড় ধরণের সংক্রমণ দেখা দেয়। একইসাথে অনেক উচ্চমাত্রার জ্বরেও ভোগেন টানা ১০ দিন। এত ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও ডাক্তার সাজিদকে ক্রমাগত বলে যাচ্ছিলেন যে, সকল প্রক্রিয়া ঠিক আছে এবং দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে।
সাজিদ আরো জানান, কঠোর পরীক্ষার সময়ে টানা ১৫ দিনের জন্য অচেতন অবস্থায় থাকার পরেও ডাক্তাররা সেটা একেবারেই পাত্তা দেননি। এই সময়টায় শুধু স্যালাইন জল দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করেছেন।
সাজিদের তৈরি ভিডিওবার্তায় তার মাথার উপরিভাগে সার্জারির ফলে তৈরি হওয়া সংক্রমণের ক্ষত দেখা যাচ্ছিল। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘তার (ডাক্তার) অবহেলার জন্যে এবং আমার ক্ষতস্থান সঠিকভাবে পরিষ্কার না করার জন্য আমি অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছি। আমার সাথে আমার পরিবারও ভুক্তভোগী। দুই মাস ধরে এই অসুস্থতার জন্য আমি অনেক বেশি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি এবং সাথে আমার ক্যারিয়ারেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’
তার এই ভিডিওবার্তা তৈরি করার মূল লক্ষ্য ছিল যারা চুল প্রতিস্থাপনে (হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে) আগ্রহী, তাদের সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করা। সাজিদ তিনি বলেন, ‘চুল প্রতিস্থাপন করতে চাইলে সঠিক সার্জনের কাছে যেতে হবে এবং আগে থেকেই এটা সম্পর্কে অনেক গবেষণা করে নিতে হবে। যদি ভুল সার্জনের কাছে যান, তাহলে আমার মতো অবস্থা হবে।’