এখানকার ২০% মানুষ গাঁজায় আসক্ত !
তাছাড়া কানাডিয়ানদের মধ্যে শতকরা ৫৯ জন নাগরিক মনে করেন কিছু কিছু শর্ত আরোপ করে গাঁজাকে বৈধতা দেয়া উচিৎ। নভেম্বর মাসের ৪-৭ তারিখের মধ্যে ১২৫৬ জন কানাডিয়ান নাগরিকের মধ্যে পরিচালিত ঐ জরিপে উঠে এসেছে এ সব তথ্য। ফোরাম রিসার্সের প্রেসিডেন্ট লরনে বজিনফ বলেন, প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে কানাডিয়ানরা গাঁজার ব্যাপারে আগের তুলনায় বর্তমানে অধিক নমনীয়।
উল্লেখ্য, মাত্র ৪ মাস আগেও গাঁজা সেবনকে বৈধতা দানের পক্ষে ছিলেন শতকরা ৫৩ জন। কানাডায় যারা গাঁজা সেবন করছেন তাদের মধ্যে যুবক-যুবতীর সংখ্যাই বেশী। শতকরা ৩৪ ভাগ। পুরুষদের সংখ্যা শতকরা ২৩ ভাগ। অপর দিকে, মদ্পানেও কানাডা শীর্ষে অর্থাৎ প্রথম। গত বছর এক সমীক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অ্যালকোহল পান করে কানাডিয়ানরা। তারপরেই আমেরিকার স্থান। বছরে এক আমেরিকান প্রায় ৭.৫-৯.৯ লিটার অ্যালকোহল পান করে। সেখানে একজন কানাডিয়ান প্রায় ১২.৫ লিটার বা তারও বেশি মদ পান করে।
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের জার্নাল অব প্রিভেনশনের অপর এক গবেষণায় জানা যায়, হ্যাঙ্গওভার কারণে অসুস্থতাজনিত ওষুধপথ্যের ব্যয়, উৎপাদনশীলতার ক্ষতি, মদপান করে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া এবং তার সাথে সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতি,অপরাধ প্রবণতা ইত্যাদিকে বিবেচনায় আনলে কানাডার অর্থনীতির ক্ষতি করে বছরে ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবশ্য এর প্রতিক্রিয়াটা আরো বেশি ২৪৯ বিলিয়ন ডলার।