প্রতিদিন ২০ হাজার ক্যালরি, তবেই হতে পারবেন সুমো পালোয়ান, সঙ্গে আর কি জানেন
কলকাতা টাইমস :
জাপানের জাতীয় খেলা সুমো কুস্তি। প্রায় দুই হাজার বছর ধরে এই খেলার প্রচলন রয়েছে। সুমো কুস্তিগীরদের ওজন মোটামুটি ২৫০ কেজি থেকে ৪০০ কেজির কাছাকাছি।
সুমো পালোয়ানদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি কিন্তু এত সহজ নয়। সারা দিন একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয় তাদের।খেতে হয় নির্দিষ্ট কিছু খাবার। সুমো পালোয়ানরা কখনও জলখাবার খান না। তারা সকালে উঠেই অনুশীলন করেন।ফলে বেড়ে যায় হজম শক্তি। খেতে পারেন ভারি মধ্যাহ্নভোজ। তাদের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য হল বিশেষ ধরনের স্ট্যু।স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয়, চাঙ্কো নাবে। নাবের অর্থ পাত্র বা বাটি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চাঙ্কোই খাচ্ছে তারা।সাধারণত তাদের হাতে বানানো যে কোনো খাবারকেই চাঙ্কো বলা যেতে পারে। বিশেষ ধরনের এই স্ট্যুতে সবজি, মাছ, টোফু, ক্যালরি সমৃদ্ধ মোচি, স্টার্চের তৈরি কেক ও মাংস থাকে।
চাঙ্কো নাবেতে যে মোচি ব্যবহার করা হয়। সেটি আসলে স্টার্চের তৈরি কেক। একটা দেশালাই বাক্সের মাপের মোচি মানে এক বাটি ভাতের ক্যালরি। আর সুমো কুস্তিগীররা মোটামুটি ছয় থেকে সাতটি মোচি এক বাটি চাঙ্কো নাবেতে দিয়ে থাকেন। একেকটি প্রতিষ্ঠানে একেক ধরনের রেসিপি রয়েছে চাঙ্কো নাবের ক্ষেত্রে।প্রত্যেকদিন মোটামুটি ২০ হাজার ক্যালরি প্রয়োজন হয় সুমো পালোয়নদের। যেখানে একজন সাধারণ নাগরিকের (পুরুষ) ক্ষেত্রে প্রয়োজন ২ হাজার ক্যালরি। দুপুরের খাবারের সঙ্গে অনেকে পাঁচ-ছয় বোতল বিয়ারও খান।দুপুরের খাবারের পর সুমো পালোয়ানদের ক্ষেত্রে একটু ঘুমের দরকার হয়। সেই ঘুমের পরিমাণ হল চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।প্রশিক্ষণ পর্বের সময় নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে নিতে শিখতে হয় কুস্তিগীরদের, খাবারে কতটা লবন পড়ে, কী সস দিলে তাতে ক্যালরি বেশি, কোন স্যুপ আরও বেশি ক্ষুধা বাড়াবে জানতে হয় এগুলোও। জাপানের কিছু নির্দিষ্ট রেস্তোরাঁয় পর্যটকদের জন্যও এই খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। রাতেও একইরকম ভারি খাবার খান সুমো কুস্তিগীররা। পর্ক, চিকেন বা বিফ থাকবেই তাতে। খেয়েই ঘুম। পরদিন আবার ভোরে ওঠা। প্রতিটি হেয়ার (ক্লাবে) আলাদা ঐতিহ্য আছে। সেই অনুযায়ী খাবারদাবার সামান্য বদলও হয়। ১৫-১৬ বছর থেকে কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয় এতে।