গোটা অত্যাধুনিক শহর উঠে আসতে দেখে চোখ ছানাবড়া পুরতাত্ত্বিকদের
পুরতাত্ত্বিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্ধবগড় ব্যাঘ্র প্রকল্প অভয়ারণ্যের নিচে যে নির্মাণের হদিশ মিলেছে, তা রীতিমত আধুনিক শহরের বলা যেতে পারে। তাতে ছিল একটি বাণিজ্য পথ যা ধরে চলত বাণিজ্যিক লেনদেন। সেই পথের ধারে পাথর কাটে তৈরি করা হয়েছিল বণিকদের থাকার উপযুক্ত সাময়িক বাসস্থান। দেড় হাজার বছরের পুরনো পাথরের উপর আঁকা ছবিও মিলেছে সেখানে। রয়েছে মানুষের হাতে তৈরি জলাধার। পুরাতাত্ত্বিকদের অনুমান, এই শহরের বয়স কিছুতেই ১৮০০ থেকে ২০০০ বছরের কম হবে না। যা এতদিন লুকিয়ে ছিল মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানের তলায়।
জলাধারগুলির উচ্চতা থেকে অনুমান বৃষ্টির জল জমা করে রেখে তার ব্যবহার করতেও জানত মধ্যপ্রদেশের প্রাচীন শহরের বাসিন্দারা। হাজার বছর আগে এই শহরটিকে ফের ঢেলে সাজাও হয়। হয় গঠনগত পরিবর্তনও। গত বছরই ওর কাছাকাছি অঞ্চলে মিলেছে ২৬টি প্রাচীন বৌদ্ধ গুম্ফা, জানিয়েছিল পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। যা খ্রিস্টপূর্ব দুই থেকে পাঁচ শতকের মধ্যে গঠিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার পরেও চলেছে খনন ও অনুসন্ধান। তাতেই এই শহরের অবশেষ মিলেছে বান্ধবগড়ের গভীরে।