September 21, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

ধুলো-মাটিতে ভর্তি ব্যাগ বারবার চুরি হচ্ছে, কেন জানলে মাথা ঘুরে যাবে 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

লতে গেলে আসলেই ব্যাগটি অনেক মূল্যবান। যার কারণেই বারবার চুরি হচ্ছে এই ব্যাগ। যদিও ব্যাগটিতে চাঁদ থেকে সংগ্রহক ধুলোমাটিতে ভরতি। অ্যাপোলো ১১ মিশনে চাঁদের মাটিতে অভিযানে অংশ নেন দলপতি নীল আর্মস্ট্রং, কমান্ড মডিউল চালক মাইকেল কলিন্স, এবং চান্দ্র অবতরণযানের চালক এডুইন অল্ড্রিন জুনিয়র। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই আর্মস্ট্রং ও অল্ড্রিন প্রথম মানুষ হিসাবে চাঁদে পা রাখেন। এ সময় তারা চাঁদ থেকে এক ব্যাগ মাটি নিয়ে আসেন।

সে মাটি বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনের পর নাসার পুরনো জিনিসপত্রের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর ব্যাগটি কানসাসের একটি জাদুঘর থেকে চুরি হয়ে যায়। যদিও এটি আবার উদ্ধার করা হয় এবং নাসার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে চাঁদের মাটিভর্তি এ ব্যাগটির কথা একরকম ভুলেই যায় সবাই। ব্যাগের ওপরও কোনো লেবেল লাগানো ছিল না।

এরপর নাসার বহু পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করার সময় নিলামে এ চাঁদের মাটিভর্তি ব্যাগটিও বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর এ ব্যাগটি নিলামে ৯৯৫ ডলারে কিনে নেন ন্যান্সি লি নামে একজন সংগ্রাহক। তবে কেনার সময় তিনি ঠিক কী জিনিস কিনছেন, তা জানতে পারেননি। নাসার কর্মকর্তারাও পুরনো জিনিসপত্র হিসেবে ২০১৫ সালে এটি বিক্রি করে দেয়।

কিনে নেওয়ার পর চাঁদের সেই মাটি পরীক্ষা করার জন্য আবার নাসার কাছে নিয়ে যান সেই নারী। জনসন স্পেস সেন্টারে পরীক্ষার পর যখন জানা যায় যে এটি চাঁদের মাটি তখন নাসাও সেই মহামূল্যবান চাঁদের মাটির্ভতি ব্যাগটি এর মালিককে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা বলে যে, এটি ভুলক্রমে অন্য একটি ব্যাগের বদলে তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যাগটির মালিক ন্যান্সি লি কার্লসন। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত শেষ পর্যন্ত এটি ক্রেতা ন্যান্সি লি কার্লসনকেই হস্তান্তর করতে বলে। কারণ এটি তিনি নিলাম থেকে কিনে নিয়েছেন। আর এ মূল্যবান সম্পদ এখন তিনি প্রদর্শনী করতে চান বলে জানিয়েছেন।

Related Posts

Leave a Reply