৩ কোটি ১৭ লক্ষের আবেদনেই চাহিদা ১০০ দিনের কাজের
কলকাতা টাইমস :
মহামারীর প্রকোপ এবং লকডাউনের পরে হঠাৎই অনেকটা বেড়ে যায় মনরেগায় ১০০ দিনের কাজের চাহিদা। সাধারণ সময়ে গ্রামের বহু শ্রমিক শহরে বিভিন্ন কারখানা বা নির্মাণ ক্ষেত্রে শ্রমিকের কাজ করে থাকেন। কিন্তু লকডাউনে এই ধরনের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামে ফিরে ১০০ দিনের কাজের খোঁজে ছিলেন তাঁরা। এর ফলে এই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে এক প্রকার বাধ্য হয় কেন্দ্র। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ১০০ দিনের চাহিদা কিছুটা কমেছিল।
১০০ দিনের কাজের চাহিদা বাড়ল মে মাসে। যদিও চাহিদা অনুযায়ী কাজের যোগান দেওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রের গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রক । মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ প্রকল্প বা মনরেগায় কাজের জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ কোটি ১৭ লক্ষ পরিবারের সদস্যেরা। যদিও কাজ পেয়েছেন ২ কোটি ২৩ লক্ষ জন।
এর পরেও গত অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে তফাত ছিল প্রায় ৫ লক্ষ। যদিও চলতি বছরের মে মাসেই তা পৌঁছেছে ৯ লক্ষ ৪০ হাজারে। একদিকে যখন মনরেগায় কাজের চাহিদা বাড়ছে, তখন কেন্দ্রের বরাদ্দ কমনো নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। উল্লেখ্য, গত মার্চেই ১০০ দিনের কাজের (মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট বা MGNREGA) মজুরি বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২৪ মার্চ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক মজুরি বৃদ্ধির কথা জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি আইনের ৬(১) ধারায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্র চাইলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই আইনের সুবিধাভোগীদের মজুরি নির্ধারণ করতে পারে। এবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৭ থেকে ২৪ টাকা পর্যন্ত দিন মজুরি বাড়াল কেন্দ্র। যদিও এক্ষেত্রে বাংলার কী প্রাপ্তি, তা এখনও অজানা। এমনিতেই ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া থেকে বাংলা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত বলে অভিযোগ উঠছে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বেশ ভাল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজ্যের জন্য কেন্দ্র মনরেগা প্রকল্পের মজুরি বাড়ানোয় প্রশ্ন উঠছে