শেষে সাপই কিনা ৩ লাখ ডলার নিয়ে পগারপার !
কলকাতা টাইমস :
প্রায় তিন লাখ ডলার সমমূল্যের অর্থ চুরির দায় সামাল দিতে গিয়ে মানুষের বদলে সাপ এবং বাদরকে দায়ী করা হয়েছে। এই আজব ঘটনা ঘটেছে নাইজেরিয়ায়। যা নিয়ে এখন নাইজেরিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দেশটিতে দুটি বড় ধরনের দুর্নীতির ঘটনা সামনে চলে আসে। এর মধ্যে প্রথমটি ঘটে নাইজেরিয়ার পরীক্ষা বোর্ডে। সেখানে পরীক্ষার ফি বাবদ জমাকৃত প্রায় ১ লাখ ডলারের কোনো হদিশ মিলছিল না।
স্বভাবতই এর দায় এসে পড়ে বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের উপর। যিনি হিসেব রাখতেন তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু উত্তর শুনে তো তদন্তকারী বোর্ডের সদস্যদের চোখ চড়কগাছ! সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী জানান, ‘টাকাগুলো তার জানা মতে কোনো মানুষ নেয়নি।’ তার দাবি হচ্ছে, একটি সাপ অর্থগুলো নি:শ্বাসের সঙ্গে গিলে নিয়েছে।
অবশ্য তদন্ত কমিশন ওই নারীর দাবি আমলে নেয়নি। বরং উল্টাপাল্টা বক্তব্যের জন্য তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় ঘটনাটি এক সিনেট সভার নেতাকে ঘিরে। নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চরের সিনেটর ফোরামের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আদামু’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সভায় ওঠা অভিযোগের জবাবে সিনেটর জানান, বানরেরা ফোরামের প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬শ’ ডলার সমমূল্যের অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছে।
সিনেটের অন্যান্য সদস্যরা আব্দুল্লাহ্র অপরাধের সমালোচনা করে বলেন, নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে গিয়ে বানরকেই বেছে নিয়ে তিনি নীচু মনের পরিচয় দিয়েছেন। আদামু’র মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। সিনেট ৭ম পরিষদের জমাকৃত অর্থ পরবর্তী নির্বাচিত পরিষদের হাতে তুলে দেয়ার সময় অর্থ কারচুপির বিষয়টি ধরা পড়ে।
নাইজেরিয়ার দুর্নীতির ঘটনা নতুন নয়। তবে পশু পাখির অত্যাচারের মাত্রাও উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়! জানা যায়, গত বছর ইঁদুরের অত্যাচারে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি টানা ৩ মাস অফিসে যেতে পারেননি। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিজের বাড়িতে বসেই তিনি পালন করেন।