৩০ বছরে চুরি করে ৭২ বছর বয়সে ধরা পড়লো চোর !
নিউজ ডেস্কঃ
শাড়ি চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ঘটনার ৪২ বছর পর গ্রেফতার করলো পুলিশ। ১৯৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর গুজরাটের সুরাট শহর থেকে ট্রেনে কলকাতায় আসছিল এক বান্ডিল শাড়ি। মালগাড়িটি শালিমার রেল ইয়ার্ডে আসার পরে দেখা যায় ৮৯টি শাড়ির কোনো খোঁজ নেই। তদন্তে নেমে রেল পুলিশ জানতে পারে- ছত্তিশগড়ের (তখন মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অঙ্গ ছিল) রায়পুরে চুরি হয়েছে ওই শাড়ির বান্ডিলটি। ভারতীয় রেল সুরক্ষা বাহিনী আরও জানতে পারে, কয়েকজন রেলকর্মীই ওই চুরির সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তদের মধ্যেই ছিল রামাধর পান্ডের নাম। বাকি আট জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও রামাধর পান্ডের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। চাকরি ছেড়ে দিয়ে কোথায় যে উধাও হয়ে গিয়েছিল, তা জানা যায়নি।
রায়পুরের রেল সুরক্ষা বাহিনীর অফিসার ইনচার্জ দিবাকর মিশ্র জানিয়েছেন, প্রায় ২২ বছর ধরে মামলা চলার পরে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে আদালত। এর অর্থ, যে কোনও সময়েই গ্রেফতার করা যেতে পারে। আমরা অনেক খোঁজ করে জানতে পারি যে রামাধর পান্ডে বিহারে তার গ্রামের বাড়িতেই রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে দু তিনবার অভিযান চালানো হয়েছে, তবে ধরা যায়নি। ছাপরা জেলায় নিজের গ্রামের এক মাতব্বর রামাধর। তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলেই পুরো গ্রামের লোকজন বাধা দিত। তাই বারে বারে ফিরে আসতে হয়েছে রেল সুরক্ষা বাহিনীকে। এবার বিহার পুলিশের সঙ্গে আগে থেকে কথা বলে প্ল্যান করা হয় যে দিনের বেলা যখন ধরা যাচ্ছে না, তখন রাত্রে অভিযান চালাব।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে পুলিশের গাড়িগুলো রেখে দেওয়া হয়েছিল। বাকি পথটা পায়ে হেঁটে রওনা দেয় বাহিনী। পরে পান্ডের বাড়িটা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এবার আর পালাতে পারেননি রামাধর পান্ডে। তিনি আরও জানান, চুরির অভিযোগটি যখন দায়ের হয়েছিল ওই রেলকর্মীর বিরুদ্ধে, তখন তার বয়স ছিল প্রায় ৩০। সেই যুবক এখন ৭০ পেরিয়েছে। তবুও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লেন।