এই অভ্যেসেই চাকরি গেল অসমের ৩০০ পুলিশ কর্মীর
কলকাতা টাইমস :
অসমে তিনশো পুলিশ কর্মীকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হবে । আগাম অবসরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, বসিয়ে দেওয়ার পরও এই পুলিশ কর্মীরা অর্ধেক বেতন পাবেন। তাদের জায়গায় নতুন লোক নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ কেন তিনশো পুলিশ কর্মীকে আগাম অবসর দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন? আগামী ১০ মে অসমের বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাহলে কি রাজ্য সরকার আগাম অবসর চালু করতে চলেছে?
মুখ্যমন্ত্রী যদিও ৩০০ পুলিশ কর্মীকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণও একই সঙ্গে জানিয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কথায়, রাজ্যের পুলিশকর্মীদের মধ্য মদ খাওয়ার প্রবণতা অসম্ভব বেড়ে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পুলিশ কর্মীদের কাজে। এমনকী নেশাগ্রস্ত পুলিশের আচরণ সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। টিভি ক্যামেরার সামনে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ, অসদাচরণ, কিছুই বাদ থাকছে না।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পুলিশ যদি এত নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহলে তারা কীভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করবে আর কীভাবেই বা মদ্যপদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ মহলের খবর, সমস্যাটি শুধু অসমের নয়, গোটা দেশেই পুলিশের একাংশ নেশাগ্রস্ত। পুলিশের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে মদ্যপান জনিত অসুখে ভুগছে পুলিশ কর্মীদের অনেকেই।
অন্যদিকে, পুলিশ কর্মীদের বক্তব্য, কাজের চরিত্রের কারণেই তাদের একাংশ মদ হাতে তুলে নেন। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আইন-শৃঙ্খলার ডিউটিতে থাকতে হয়। রাতের ডিউটি তো পুলিশের কাজেরই অঙ্গ। কিন্তু দিনের পর দিন নাইট ডিউটি করতে করতে অনেকেই মদের আশ্রয় নেয়। এইভাবে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
রবিবারই সংবাদমাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মদ কেনার ছবি সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। দেখা যায় পুলিশের সঙ্গে কোমরে দড়ি পরানো এক আসামি। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ ও আসামি মদের দোকান থেকে মদ কিনছে।