৩০০ বছরের নদী চুরি তাও মাত্র ৪ দিনে!
কলকাতা টাইমস :
দিনেদুপুরে পুকুরচুরি তো শুনেছেন।
জানেন‚ আস্ত নদী চুরি হয়ে যায়! মাত্র চার দিনে।
চুরি করেছে স্বয়ং প্রকৃতি। ভূবিজ্ঞানীরা এই প্রাকৃতিক ঘটনার নাম দিয়েছেন রিভার পাইরেসি।
কানাডায় স্লিমস বলে এক নদী ছিল। প্রায় ৩০০ বছর আগে তার খাতে জল বইতে শুরু করেছিল। যোগান দিয়েছিল কাস্কাওয়ালশ হিমবাহ। কানাডার অন্যতম বড় হিমবাহগুলোর মধ্যে একটি।
গত বছর অস্বাভাবিক গরমে মাত্র চার দিনে শুকিয়ে গেছে নদীটি। পড়ে আছে শুকনো খাত। এরকম নয়‚ খুব শিগ্গির আবার ভরে যাবে জলে। কারণ প্রকৃতির খেয়ালে পরিবর্তিত হয়েছে হিমবাহর বরফ গলে জল বয়ে যাওয়ার অভিমুখ।
এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে নেচার পত্রিকায়। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে উষ্ণ তাপপ্রবাহ অদৃশ্য করে দিতে পারে আস্ত এক নদীকে। ২০১৬ সালে সারা বিশ্ব জুড়েই অস্বাভাবিক হারে গরম পড়েছিল। রেহাই পায়নি কানাডাও। উষ্ণায়ণের প্রভাবে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে থাকে স্লিমস নদীখাত। ২৬ থেকে ২৯ মে-এর মধ্যে উধাও পুরো নদী। মন্দার বোসের কথায় ‘ ভ্যানিশ!’
এরকম নয় যে নদীর জল বাষ্পীভূত হয়ে যায়। আসলে আচমকা এত উষ্ণতা বেড়ে যায়‚ হিমবাহ থেকে অতি দ্রুত হারে বরফ গলতে থাকে। এতটাই জলস্রোত বৃদ্ধি পায়‚ যে জল প্রবাহিত হওয়ার অভিমুখ পাল্টে যায়। আর এদিকে জলের যোগান না পেয়ে শুকিয়ে খটখটে ধুলোর চর স্লিমস নদী।
যে স্লিমস নদী কোনও কোনও জায়গায় ১৫০ মিটার অবধি প্রশস্ত ছিল‚ সে কিনা অদৃশ্য হয়ে গেল মাত্র চার দিনে। এখন কাস্কাওয়ালশ হিমবাহ-র তুষার গলে উৎপন্ন জল প্রবাহিত হয় গাল্ফ অফ আলাস্কার দিকে। স্লিমস নদী থেকে প্রায় হাজার মাইল বিপরীতে।
সাধে কি আর প্রবাদে বলে নদীর এ পাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস‚ ও পাড়েতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস…