অস্ট্রেলিয়ার ৩০ নম্বর প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন স্কোমো, তার সম্পর্কে কিছু তথ্য
কলকাতা টাইমসঃ
স্কট মরিসন সংক্ষেপে যিনি স্কোমো নামেই পরিচিত। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রীয় কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন মরিসন। গত বুধবারও তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার তার কোনো ইচ্ছে নেই। সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের প্রতি আমার পুরো সমর্থন রয়েছে। তিনিও আমার অবস্থান সম্পর্কে জানেন।’ প্রধানমন্ত্রী পদে তার প্রার্থী হওয়াকে গুঞ্জন বলেই তখন ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি।
আজ শুক্রবার সেই মরিসনই লিবারেল পার্টির আরেক নেতা পিটার ডাটনকে ৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। টার্নবুলকে সরাতে মূল ভূমিকা ছিল ডাটনের।
স্কোমো সম্পর্কে কিছু তথ্য…..
বর্তমানে ৫০ বছর বয়সী মরিসনের বেড়ে উঠা সিডনির সমুদ্রসৈকতের পার্শ্ববর্তী ব্রন্তে এলাকায়। বাবা ছিলেন পুলিশ কমান্ডার, মা স্থানীয় কাউন্সিলর। শৈশবে টুকটাক অভিনয়ও করেছেন। কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তাকে। পড়াশুনা করেছেন অ্যাপলায়েড ইকোনোমিক্যাল জিওগ্রাফি নিয়ে, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসে। ২১ বছর বয়সে স্কট মরিসন বিয়ে করেন তার শৈশবের বান্ধবীকে। তাদের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মালম্বী মরিসন সিডনির হিলসোং স্টাইল পেনটেকোস্টাল চার্চে নিয়মিত যান প্রার্থনার জন্য।
অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন শিল্পের উন্নতি সাধনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন স্কট মরিসন। ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন বিভাগের ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। চার বছর লিবারেল পার্টির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। কুক কাউন্টি আসনে জিতে স্কট মরিসন জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ২০০৭ সালে। এরপর থেকেই আসনটি তার দখলে রয়েছে।