November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা শারীরিক

 ৩৩ বছর আগেই মৃত্যুর দোরগোড়ায় ছিলেন হকিং, বাঁচিয়ে দেন প্রথম স্ত্রী 

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্কঃ

পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। এর প্রায় ৩৩ বছর আগেই ১৯৮৫ সালেই প্রায় মৃত্যুর দ্বারে পৌঁঁছে গিয়েছিলেন হকিং। তবে তার স্ত্রী জেন ওয়াল্ডির ভূমিকায় সে যাত্রা বেঁচে যান তিনি। এবার ৭৬ বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডে মারা গেলেন। ১৯৬৩ সালে হকিংয়ের যখন মোটর নিউরন ডিজিজ ধরা পড়ে তখন থেকেই তাকে বেঁচে থাকতে অনুপ্রেরণা দিয়ে সহায়তা করেছিলেন জেন। হকিংয়ের চিকিৎসাও শুরু হয় সে সময়।

১৯৮৫ সালের গ্রীষ্মে জেনেভার সার্ন-এ অবস্থানকালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজ্ঞানী। তার অবস্থা সে সময় এতই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয়। এরপর তার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। চিকিৎসকরাও তার কষ্ট দেখে একসময় লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সাপোর্ট বন্ধ করলেই তার নিশ্চিত মৃত্যু হতো।

হকিংয়ের প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের প্রায় ২০ বছর পর তিনি তার জীবনের ‘অন্ধকার’ সময়ে স্ত্রী জেনের সেই প্রাণ বাঁচানো সহায়তার কথা জানান। হকিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে এক তথ্যচিত্র। সেখানেই এই তথ্য পাওয়া যায়।হকিং বলেছেন, নিউমোনিয়ার ধকল আমি সহ্য করতে পারিনি, কোমায় চলে গিয়েছিলাম। তবে চিকিৎসকরা শেষ অবধি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন , হাল ছাড়েননি।

সে সময় চেষ্টা সত্ত্বেও হকিংয়ের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চিকিৎসকরা হকিংয়ের স্ত্রী জেনকেও লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান। হকিংয়ের স্ত্রী জেন অবশ্য সে প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন হকিং। সে সময় হকিংয়ের লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দিলে তার মৃত্যু হত এবং এ বিশ্ব হয়ত বহু জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হত।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে মোটর নিউরন ব্যাধির শিকার জগৎখ্যাত এই পদার্থবিদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগে আক্রান্তরা প্রায় পাঁচ বছর বাঁচেন। তবে হকিং এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ১৯৯১ সালে অবশ্য হকিংয়ের প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।

 

Related Posts

Leave a Reply