এক পেন্সিলেই ৩৫ মাইল, ভাবা যায় !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ছোটবেলায় আমাদের প্রায় সবারই পড়াশোনার হাতেখড়ি হয়েছে পেন্সিল দিয়ে। এই পেন্সিল দিয়ে লিখতে লিখতে এক সময় হাত ব্যথা হয়ে যেত। তবুও লিখতাম, ছবি আঁকতাম। অনেক লেখালেখি কিংবা ছবি আঁকার পড়েও একটি পেন্সিল শেষ হতো না। গবেষণায় জানা যায় একটি পেন্সিল দিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার শব্দ লেখা সম্ভব। এমনকি একটি পেন্সিল দিয়ে দাগ টেনে একটানা ৩৫ মাইল পর্যন্ত চলে যাওয়া সম্ভব।
আমাদের দেশে তো বটেই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পেন্সিলের ব্যবহার রয়েছে। তা শুধু ছোটদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বড়রাও লেখার কাজে ব্যবহার করেন পেন্সিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ২০০ কোটি পেন্সিল ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশের সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও ব্যবহারকারীর পরিমাণ কম নয়।
তবে ছোটবেলায় আমি যেই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি পরতাম তা হলো পেন্সিলের ক্যাটাগরি নিয়ে। ছবি আঁকা বা লেখার জন্য পেন্সিলের ছিল আলাদা ধরন। কোনোটার শীষ নরম, কোনোটার শক্ত। আবার কোনোটা দিয়ে দাগ টানলে কালোর ঘনত্ব বেশি , কোনোটায় উঠে হালকা দাগ। এছাড়াও কিছু পেন্সিলে লেখা হয় সুন্দর, মসৃণ কোনোটায় হয় খসখসে।
এসব দোষ-গুণের ভিত্তিতে পেন্সিলকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। শীষ শক্ত হলে তাকে ‘এইচ(হার্ড)’,লেখার কালি ঘনত্ব ‘বি(বোল্ড)’এবং কত সুন্দরভাবে লেখা হবে তা ‘এফ (ফাইন পয়েন্ট)’ দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
এখন পেন্সিলের শীষ শক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মানও বাড়বে। যেমনঃ 2H, 3H, 4H, 5H ইত্যাদি। তেমনিভাবে দাগের ঘনত্ব 2B,3B, 4B, 5B অনুযায়ী বাড়বে। তবে পেন্সিলের শীষ কত শক্ত বা ঘন হবে তার কোনো নির্দিষ্ট মান নেই। কোম্পানি ভেদে শীষের মান কিছুটা কমবেশি হয়। প্রতিটি কোম্পানির 2H ও 3H পেন্সিল শীষ বেশ শক্ত। তবে শৈশবে আমি মেটাডোরের HB পেন্সিল বেশি ব্যবহার করেছি। এর মানে পেন্সিলের শীষটি শক্ত সঙ্গে ঘন কালি।