পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে থাকছে 3 লাখ ৭১ হাজার সেনা সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা !
কলকাতা টাইমসঃ
আগামী ২৫ জুলাই হতে চলা পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে দেশজুড়ে নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৩ লাখ ৭১ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু মোতায়েন করাই হচ্ছে না, একই সঙ্গে তাদের দেওয়া হচ্ছে ব্যাপক ভাবে বিচার করার ক্ষমতা। যা নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
নির্বাচনে মূলত দুটি দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। এর মধ্যে একদিকে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)। অন্যদিকে, কারাগারে বন্দি থাকা সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। আলোচনায় রয়েছে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিও (পিপিপি)। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্বেগের কারণ, ইমরানের মুখে সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রশংসা করতে শোনা গেছে। আর নওয়াজ শরীফ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইমরান খানের হয়ে কাজ করছে। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে সেনার সংখ্যাও। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, এবার দেশজুড়ে ৩ লাখ ৭১ হাজার সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। যা ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে তিন গুণ। চলতি মাসে এক বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিট্রেট পর্যায়ের ক্ষমতা দেওয়ার কথা জানায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফলে সেনাবাহিনী নির্বাচন চলাকালীন যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিচার করে তার জন্য সাজাও দিতে পারবে। এদিকে, সেনাবাহিনী এমন ক্ষমতার অব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।