জিং পিংয়ের ‘তৃতীয়’ নীতিতে অগ্নিশর্মা চীনা নারীমহল

কলকাতা টাইমস :
জন্ম হার তলানিতে থেকে ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ায় নতুন এই পরিবার পরিকল্পনা নীতি গ্রহণ করেছে চীন। এর ফলে এখন থেকে চীনের দম্পতিরা তিনটি পর্যন্ত সন্তান নিতে পারবেন। তবে সরকারি ফরমান নিয়ে মোটেও আগ্রহ নেই চীনা নারীদের!
এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২২ বছরের স্নাতকোত্তর ছাত্রী ইয়ান জিয়াকি বলেন, আমার পরিচিত বহু নারীই তৃতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা শুনলেই ক্ষেপে যাচ্ছেন। তাদের সামনে ভুলেও ওই কথা বলবেন না।
বেইজিংয়ের বাসিন্দা তথা দুই সন্তানের বাবা ২৯ বছরের ইয়াং শেনগাই বলেন, দেখুন আমাদের অত টাকা নেই। বাড়িতে আরও একজনের জন্য বাড়তি জায়গা নেই। তাই আমরা তৃতীয় সন্তান চাই না। যখন আমাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয় তখন স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। তাই তৃতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার কোনও যুক্তি আমরা দেখছি না।বিষয়টি নিয়ে ‘ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসন’-এর গবেষক ওয়াই ফুকশিয়ান বলেন, দীর্ঘদিনের সরকারি নীতির ফলে একটি মাত্র সন্তান জন্ম দেওয়া বা নিঃসন্তান থাকায় চীনের সামাজিক প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কঠোর পরিবার পরিকল্পনা নীতির মধ্য দিয়ে গেছে চীন। গত ৪০ বছর ধরে নীতি ছিল, এক যুগল এক সন্তান। এই নীতি থেকে ২০১৬ সালে বেরিয়ে আসে চীন। এরপর থেকে দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারতেন। অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও জনশক্তির কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
মে মাসে সরকারি হিসাব মতে, ১৯৬০ সালের পর থেকে চিনে জনসংখ্যা উৎপাদন সর্বোচ্চ হারে হ্রাস পেয়েছে। চীনের এক সন্তান নীতি গ্রহণের পর থেকেই কমতে থাকে জনসংখ্যা। চলতি মাসে যা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে। ফলে পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে শি জিনপিং সরকার।