October 5, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

চার তলা থেকেএকে একে ঝাঁপ দিচ্ছেন ডেপুটি স্পিকার সহ ৪ বিধায়ক, কিন্তু তারপর যা হল

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মন টানটান উত্তেজনা সাধারণত সিনেমা বা টিভি সিরিয়ালেই দেখা যায়। এবার তাই দেখা গেল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। মহারাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে শুক্রবার যে কান্ড ডেপুটি স্পিকার ঘটালেন টানতে কয়েক মুহূর্তের জন্য প্রায় দমবন্ধ হওয়ার জো গোটা বিধানসভা জুড়ে। চারতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল। তাঁকে ঝাঁপ দিতে দেখে তাঁর পেছন-পেছন ঝাঁপ দিলেন বিজেপির আদিবাসী বিজেপি বিধায়ক হেমন্ত সাভরা, কিরণ লাহামাটে, হিরমন খোসকার ও রাজেশ পাটিল। তবে ভাগ্যক্রমে নিচে নিরাপত্তা স্বরূপ জাল বিছানো থাকায় বড় কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান তাঁরা। সেই জালে আটকে প্রাণ বাঁচে তাঁদের । পরে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।

জানা গিয়েছে, সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল  মহারাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে। ধাঙড় গোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের তপসিলি জনজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একনাথ শিন্ডের সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন অজিত পওয়ার গোষ্ঠীর আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ বিধায়করা। এরপরই সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে সচিবালয়ের চার তলা থেকে ঝাঁপ দেন নরহরি জিরওয়াল। 

সূত্রের খবর, ঘটনার পরই শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বিধায়কদের ফোন করেন এবং তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন। জোট সরকারের সাংসদ-বিধায়কদের ক্ষোভ মেটাতে তাঁদের সঙ্গে আজই বৈঠকে বসার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েত আইন ১৯৯৬-র অধীনে সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ১৭টি ক্যাটেগরিতে আদিবাসীদের নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। সাধারণ প্রার্থীরা যোগ দিলেও, আদিবাসী প্রার্থীদের নিয়োগ হয়নি। আজও এই বিষয় নিয়েই আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। সেখান থেকেই এই ঘটনা।

অন্যদিকে,  মূলত পশ্চিম মহারাষ্ট্র এবং মরাঠাওয়াড়া অঞ্চলে বসবাস করেন ধাঙড় গোষ্ঠীর মানুষ। বিগত কয়েক বছর ধরে তফসিলি জনজাতির তকমা চেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এবার তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আসন্ন নির্বাচনে কেউ শিন্ডের সরকারকে ভোট দেবেন না। এই অবস্থায় ধাঙড় সম্প্রদায়কে খুশি করতে তাঁদের দাবি মানার পথে হাঁটে সরকার। 

Related Posts

Leave a Reply