গরমে প্রতি বছর মারা যাবে ৫২ হাজার মানুষ
কলকাতা টাইমস :
গবেষকদের হুঁশিয়ারি, আগামী ৬০ বছরের মাঝে তাপ প্রবাহ বা হিট ওয়েভের কারণে প্রতি বছর অত্যন্ত ৫২ হাজার মানুষ মারা যাবে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিষুব এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানুষ, অর্থাৎ আফ্রিকা এবং এশিয়া। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা।
চলমান গ্রীষ্মে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভারত, গ্রীস, জাপান এবং কানাডায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে মৃত্যু। প্লস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মৃত্যুর সম্ভাব্য সংখ্যা নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন : ভারতীয়রাই অন্যতম ‘অলস’ জাতি!
গবেষণার লেখক, অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ইউমিং গুও জানান, পরিবেশ বিপর্যয় এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধি বিবেচনা করলে দেখা যায়, প্রতি বছর ৫১,৭৯৫ জন মানুষের মৃত্যু হবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে।
২০৩১ সাল থেকে ২০৮০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২০টি দেশের ৪১২টি এলাকায় হিট ওয়েভ থেকে কত মানুষ মারা যাবেন তা নির্ণয়ের চেষ্টা করেন গবেষকরা। এর জন্য তারা একটি কম্পিউটার মডেলের সহায়তা নেন।
অধ্যাপক ইউমিং জানান, হিট ওয়েভের কারণে বর্তমানে প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছেন। এ কারণেই এই গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে হিট ওয়েভ আরও ঘন ঘন দেখা যাবে, আরো তীব্র এবং লম্বা সময় ধরে চলবে।’
গবেষণায় দেখা যায়, পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এবং হিট ওয়েভের সাথে মানুষ খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে, বিশেষ করে বিষুবরেখায় অবস্থিত দরিদ্র দেশগুলোতে।
অনেকেই ভাবেন হিটওয়েভে শুধু তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ঘটে। উদাহরণ হলো থার্মোপ্লেজিয়া, হিটস্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প এবং হিট সিনকোপ। কিন্তু উত্তাপের কারণে অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়ে, যেমন হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ এবং ডায়াবেটিস।