চিকিৎসককে যে ৫টি কথা কখনোই বলতে নেই
কলকাতা টাইমস :
জরুরি কোনো প্রয়োজন অথবা নিয়মমাফিক চেকআপ, যেকোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয়। এই সাক্ষৎতটা বেশ দুশ্চিন্তাময় ও মানসিক পীড়াদায়ক হয়ে উঠতে পারে। আর এর জন্যে দায়ী আপনি। কারণ চিকিৎসককে পরিষ্কার ও সঠিক তথ্যের যথেষ্ট সরবরাহ দিতে না পারলে চিকিৎসকের কাছে সমস্যাটা গোলমেলে মনে হতে পারে। মূলত রোগীর কিছু অযৌক্তিক বক্তব্যের কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমনই কিছু কথা, যা চিকিৎসককে কখনোই বলতে নেই।
১. আমি নিশ্চিত যে সমস্যাটা… : ইন্টারনেটের যুগে মানুষ তার লক্ষণ এবং রোগ নিয়ে গুগল থেকেই ধারণা নেন। শুধু তাই না, সমস্যাটা কি হয়েছে তাও নিজেই বের করার চেষ্টা করেন। অথচ এর পুরাটাই ভুল হতে পারে। এসব তথ্য মাথায় নিয়ে যখন রোগী চিকিৎসককে বলেন যে তিনি তার রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত, তাহলে চিকিৎসকের আর কি প্রয়োজন? বিশেষজ্ঞরা জানান, আপনি যাই জেনেছেন তা নিজের মধ্যেই রাখুন। ডাক্তারের কাছে গেলে তাকেই আপনার সমস্যা ও এর কারণ খুঁজতে দিন। আপনার এসব তথ্য তাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে। ক্ষতিটা আপনারই হবে।
২. সম্ভবত এটা মানসিক চাপ : স্ট্রেস আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। মানসিক চাপ আপনি নিজেও অনুভব করবেন। কিন্তু অন্য যে সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছে তা যে মানসিক চাপেই হয়েছে তা কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন? যদি বলেন যে আমার প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয় এবং তা সম্ভবত মানসিক চাপের কারণে, তাহলে ডাক্তার সেই দিকেই নজর দেবেন। অন্য সমস্যা চিহ্নিত করতে তখন সময় লেগে যাবে।
৩. আপনার সময় নষ্ট করার জন্যে দুঃখিত : চিকিৎসকের দায়িত্ব আপনার পেছনে সময় দেওয়া। চেকআপ করতে এসে তা না করলে কোনো ক্ষতি নেই। এর জন্যে চিকিৎসকের সময়ের অপচয় ঘটবে না। যদি চেকআপ করার পরও সমস্যা না মেলে, তবে তো সুখবর। এতে সময় অপচয়ের কিছু নেই।
৪. আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন… : মনে একগাদা প্রশ্ন নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা ভালো। টেলিভিশন থেকে কোনো নিজের মধ্যে একই সমস্যার লক্ষণ হয়তো খুঁজে পেয়েছেন। সেই তথ্য নিয়েই চলে আসলেন চিকিৎসকের কাছে। সেখানে যদি আপনি টেলিভিশনের ওই ঘটনার উদাহরণ টেনে বোঝাতে চান যে ডাক্তারও তা জানেন, তবে ভুল করছেন। বিশেষজ্ঞ তার পদ্ধতিতেই আপনার লক্ষণ বুঝে রোগ নির্ণয় করবেন।
৫. আপনি কি এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ নন? : মনে রাখতে হবে, চিকিৎসকরাও মানুষ। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তারা এ বিষয়ে বিস্তার জ্ঞান রাখেন। তার অর্থ নেই নয় যে, তারা সবকিছুই জানেন। কাজেই একজন চিকিৎসক সব জানেন ধরে নিয়ে তার ওপর সব দায়িত্ব ন্যস্ত করা উচিত নয়। আবার এ নিয়ে তাদের অস্বস্তিকর প্রশ্ন করাও উচিত নয়। আবার চিকিৎসককে অন্য চিকিৎসকের প্রতিযোগী বলে ভাবার কিছু নেই। কাজেই তিনি বিশেষজ্ঞ নন বা এ ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করা উচিত নয়।