বাঁচতে চাইলে রাতে এই ৫ ধরনের খাবার খাওয়া ভুলেও নয় !
কলকাতা টাইমস :
শরীরকে রোগমুক্ত রাখার সহজ উপায় সম্পর্কে জানা আছে? কী বলেন মশাই! আপনি জানেনই না কীভাবে সুস্থ থাকতে হয়, তাহলে বেঁচে আছেন কীভাবে?
এরকম অবস্থা আমাদের সকলেরই। সবাই চাই সুস্থভাবে বাঁচতে। কিন্তু সেই লক্ষে পৌঁছানোর রাস্তা সম্পর্কে কারও কোনও ধরণা নেই। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন একটি ফর্মুলা সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে হাসতে হাসতে ১০০ পেরনো সম্ভব! তাই আপনার মনেও যদি দীর্ঘায়ু পাওয়ার ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট!
কী এই ফর্মুলা? চিকিৎসকেরা গত এক দশকের ডেটা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লক্ষ করেছেন, বর্তমানে ২৫-৫০ বছর বয়সিরা সাধারণত যেসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তার বেশিরভাগেরই সঙ্গে ওজন বৃদ্ধির একটা যোগ রয়েছে। তাই যদি ওবেসিটিকে দূরে রাখতে পারেন, তাহলেই কেল্লাফতে! আর কীভাবে করবেন এই কাজটা? খুব সহজ, সন্ধ্য়ার পর ভুলেও এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলিকে মুখে তুলবেন না। তাহলেই দেখবেন ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। সেই সঙ্গে কমবে হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্তের আশঙ্কাও।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে, রাতের বেলা আমাদের হজম শক্তি খুব কমে যায়। ফলে এই সময় বেশি মাত্রায় কার্বোহাড্রেট এবং ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীর পক্ষে তা ভেঙে এনার্জিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়। তাই তো সন্ধ্য়ার পর নিচে আলোচিত খাবারগুলি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
১. পাস্তা:
এক বাটি সাধারণ পাস্তায় প্রায় কম-বেশি ৪০০ ক্যালরি থাকে। আর যদি পাস্তাটা চিজ দিয়ে বানানো হয়, তাহলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে ক্যালরির মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাতের বেলা এই পরিমাণ ক্যালরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে আর বলে দিতে হবে না।
২. পিৎজা পার্টি নৈব নৈব চ!
“আজ না আর রান্না করতে ইচ্ছা করছে না। চলো না পিৎজা খাওয়া যাক!” কম বয়সি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন কথোপকথন প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু যারা রাতের পর রাত এমনভাবে পিৎজা খেয়ে কাটিয়ে দেন, তাদের কি জানা আছে এই খাবারটিতে যে পরিমাণ ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে, তা শরীরে পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। শুধু তাই নয়, পিৎজায় উপস্থিত স্যাচুরেটেড ফ্যাট হার্টের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে থাকে। ফলে এমন খাবার বেশি মাত্রায় খেলে ধীরে ধীরে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৩. আইসক্রিমও চলবে না!
একেবারেই ঠিক শুনেছেন! ওজনকে যদি লাগাম পরাতে চান, তাহলে জিভকে যে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। তাই সন্ধ্যার পর আইসক্রিম খাওয়া চলবে না। কারণ একাধিক কেস স্টাডি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে আইসক্রিমে যে পরিমাণ ক্যালরি থাকে, তা রাতের বেলা শরীরের পক্ষে কাজে লাগানো সম্ভব হয় না। ফলে ক্যালরি জমতে জমতে এক সময় ওজন যায় বেড়ে।
৪. ঝাল-মশলা দোওয়া খাবার যতটা পারবেন কম খাবেন:
ঘড়ির কাঁটা ৭ টা পরনোর পর আপনার প্লেটে যত রিচ খাবারে পরিমাণ বড়বে, তত কিন্তু ওজন বাড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও বাড়বে। তাই সাবধান!
৫. ভাতের থেকে মুখ ফেরাতে হবে:
মাছে-ভাতে বাঙালির রাত-দিন ভাত চাই! তা না হলেই গৃহস্তের অন্দরে তুলকালাম! কি তাই তো! কিন্তু শরীককে চাঙ্গা রাখতে হলে যে ভাত খাওয়া কমাতেই হবে বন্ধুরা। কারণ ভাত হল কার্বোহাড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। আর কার্বোহাইড্রেটকে ভাঙতে যে পরিমাণ হজম ক্ষমতার প্রয়োজন পরে, তা রাতের বেলা থাকে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভাত খেলে ওজন বাড়তে থাকে। আর যদি একান্তই ভাত খেতে ইচ্ছা করে, তাহলে অল্প করে ব্রাউন রাইস খেতেই পারেন। কিন্তু ভুলেও সাদা ভাত খাওয়া চলবে না।