56 বছর পরও সচল প্রথম রাষ্ট্রপতির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

আশ্চর্য ব্যাপার যে, তার মৃত্যুর ৫০ বছর পরও সেই অ্যাকাউন্টটি চালু রেখেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এমনকি মাঝে মাঝেই নাকি সাধারণ মানুষ এতে টাকা জমা দেন। এতদিনে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর অবশ্য পাল্টেছে। বর্তমানে এর নম্বর হচ্ছে ০৩৮০০০০১০০০৩০৬৮৭।
শ্রদ্ধা আর সম্মান জানাতে আজও সেখানে সাধারণ মানুষ ১০০ টাকা থেকে ৫০১ টাকা জমা করেন। ভুলে নয়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ইচ্ছেতেই এখনও চলছে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতির হিসেব। ব্যাংকের হিসাব বইতে এখনও রাজেন্দ্রবাবুর ছবি রয়েছে। পরিচয় হিসেবে লেখা রয়েছে, ‘ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি’। ঠিকানা: সদাকত আশ্রম, পাটনা।
ব্যাংক ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার জানান, বর্তমানে অ্যাকাউন্টে ৭ হাজার ৩৩০ টাকা রয়েছে। তবে রাজেন্দ্রবাবুর হিসেবে কারা টাকা জমা করেন সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে সঞ্জয় কুমারের বক্তব্য হচ্ছে, ‘আমাদের গ্রাহকও হতে পারেন আবার কর্মচারিও হতে পারেন। তবে আমরা এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি ‘প্রদর্শন’ করে রেখেছি। যা দেখে অনেকেই স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেন।
রাজেন্দ্র প্রসাদের ওই অ্যাকাউন্টটিকে বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ‘ডিপোজিটার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ড’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দশ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত না হওয়া অ্যাকাউন্টের জমা টাকা দেশের শিক্ষা ও সচেতনতার কাজে ব্যবহার করে রিজার্ভ ব্যাংক। সেই অনুযায়ী রাজেন্দ্র প্রসাদের অ্যাকাউন্টটিকেও এই তালিকায় ফেলা হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য আপত্তি নেই রাজেন্দ্র প্রসাদের পরিবারের। নাতনি তারা সিংহের মতে, এই অ্যাকাউন্টের মালিকানার দাবি তারা কখনোই জানায়নি। বরং অ্যাকাউন্টটিকে ব্যাংকই বাঁচিয়ে রেখেছে। তারা যদি ঐ টাকা শিক্ষার উন্নতিতে ব্যবহার করেন তবে তা অবশ্যই আনন্দের।