বিনা নিমন্ত্রনে বিয়ে খাওয়ার ৬ উপায়

কলকাতা টাইমস :
বিয়ে খেতে মন চাইছে? কিন্তু নিমন্ত্রণ পাননি বলে চিন্তায় পড়ে গেছেন। তাতে কি আপনি এমনিই বিয়ে খেয়ে আসুন। ছোট বেলায় বন্ধুদের নিয়ে মজা করার জন্য অনেকেই বিনে নিমন্ত্রনে এমন বিয়ে খেয়ে থাকেন।
তবে যারা বিনা নিমন্ত্রনে বিয়ে খেতে যান, তাদেরকে কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করতেই হয়। কি ভাবছেন, আপনি সেই কৌশল জানেন না, তাই না? তাতে কি আপনাদের জন্য নিচে কিছু কৌশল দেয়া হলো।
১। সবার আগে কার বিয়ে, সেটা জেনে নিতে হবে। এতে প্রাথমিক নিরাপত্তা জোরদার হয়। তাই বর-কণের নাম জানা খুবই জরুরি।
২। ভালো কাপড় পরে যেতে হবে। আয়রন করা কাপড় হলে সবচেয়ে ভালো। নিজের না থাকলে বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে নিন।
৩। সাধারণত পাত্র কিংবা পাত্রী মঞ্চে রোবটের মতো বসে থাকে। খাওয়ার আগে একবার মঞ্চ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পাত্রীর কাছে গিয়ে নিজেকে বরের ভাইগোত্রীয় কেউ পরিচয় দিয়ে পাত্রীকে অবশ্যই বৌদি সম্বোধন করবেন। পাশাপাশি ‘ভাইয়ার জন্য পারফেক্ট বউ’, ‘ভাইয়ের সঙ্গে মানাবে’, ‘বৌদি হিসেবে যাঁকে কল্পনা করেছি একদম সে রকম’ এই টাইপের কিছু কথা শুনিয়ে আসতে হবে।
একইভাবে বরের কাছে গিয়ে নিজেকে কনের ছোট ভাইস্থানীয় কেউ পরিচয় দিয়ে তাঁকে সোজা জামাইবাবু সম্বোধন করতে হবে। পাশাপাশি ‘দিদির জন্য এ রকম বরই দরকার’, ‘আমার দিদির জন্য পারফেক্ট বর’, ‘হ্যান্ডসাম জামাই ’ ইত্যাদি কিছু কথা এখানেও শোনাতে হবে। এর ফলে আপনার নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বাড়তি সমাদরও জুটতে পারে।
৪। খেতে বসে অনেক গল্প করবেন। তবে গল্প করার আগে বর-কনের বয়স দেখে নেবেন। সেই অনুযায়ী গল্প সাজাতে হবে। যেমন ধরি, কনের নাম শিল্পী। আপনি এমন গল্প বলতে পারেন—আরে শিল্পী তো অঙ্কে দুর্বল ছিল। কত বলতাম অঙ্কটা শেখ। কিন্তু শিখত না! সেদিনই বুঝেছিলাম ওকে দিয়ে সংসার ভালো হবে। হা হা হা! আজ ওর বিয়ে খাচ্ছি। এমন গল্প করলে পাশে কেউ শুনে ভাববে আপনার মনে হয় কণের বন্ধু।
৫। বড় কেউ দেখামাত্রই পুনাম জানাতে হবে। প্রয়োজনে শরীর-স্বাস্থ্যের কী অবস্থা, সেটাও জিজ্ঞেস করতে হবে। তবে সেটা পরিমিতভাবে। নইলে বিয়ে খাওয়ার বদলে ধরা খাওয়ার আশঙ্কা আছে।
৬। খাবার শেষে বেশিক্ষণ অবস্থান করবেন না। অনেকেই আবেগে পড়ে, প্রেমে পড়ে খাবার শেষেও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে। খাবার শেষে সঙ্গে সঙ্গে স্থান ত্যাগ করতে হবে। নইলে আরেক প্রস্থ খাবার জুটতে পারে। পেটে নয় পিঠে।