জন্মেই মা-বাবাকে ৬০ বছর বিনামূল্যে পিৎজা
কলকাতা টাইমস :
পৃথিবীতে এসেই বাবা-মায়ের ভাগ্য খুলে দিল সন্তান। ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৬০ বছর পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পিৎজা পাওয়ার এক আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তার বাবা-মা। এত কিছু সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সদ্যোজাত সন্তানের নামের জন্যে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম সন্তান নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলেন ক্লিমেটিন ওল্ডফিল্ড আর অ্যান্থনি লট। প্রায় ৭২ ঘণ্টা প্রসব যন্ত্রণার পর জন্ম নেয় ডোমিনিক। এদিকে গত ৯ ডিসেম্বর ডোমিনিক জুলিয়ান লটের জন্মের ঘণ্টা দুয়েক আগেই একটি মজার প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করে ডোমিনোজ পিৎজা।
প্রতিষ্ঠানটির ৬০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ঘিরে ডোমিনোজ পিৎজার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, যদি ৯ ডিসেম্বর কোনো পরিবারে প্রথম সন্তান জন্ম নেয় এবং তার নাম রাখা হয় ডোমিনিক, তাহলে পরিবারটি একটি ক্যাশ কুপন জিতবে। সেই ক্যাশ কুপনের সাহায্যে ৬০ বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে পিৎজা অর্ডার করে খেতে পারবেন তারা। আর ভাগ্যক্রমে সেই দিনই জন্মায় ডোমিনিক। সঙ্গে সঙ্গে এই পুরস্কার জিতে নেন ক্লিমেটিন ওল্ডফিল্ড আর অ্যান্থনি লট। কারণ কাকতালীয়ভাবে তাদের প্রথম সন্তানের নাম রাখা হয় ডোমিনিক!
তবে জন্মের আগেই বাবা-মা দুজনে মিলে ছেলের এই নাম ঠিক করেছিলেন। ক্লিমেটিন এই ডোমিনিক নাম রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অ্যান্থনিরও নামটি পছন্দ হয়। মজার বিষয় হলো, কাকার জেরেই এই প্রতিযোগিতার অংশ হয়ে ওঠে ডোমিনিক। কয়েক দিন আগে নবজাতকের কাকা ছোট্ট ডোমিনিকের ঠাকুরমাকে এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। ডোমিনিকের ঠাকুরমা তার বাবা-মাকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলেন। ডোমিনিক জন্মের পর তড়িঘড়ি করে ডোমিনোজ পিৎজাকে তাদের সন্তানের জন্ম সনদ পাঠান তারা। আর জিতে নেন পুরস্কার।
উপহার পেয়ে খুব খুশি ডোমিনিকের বাবা-মা। তা বলছেন, হাসপাতালে সপ্তাহখানেক কাটানোর পর এই ধরনের উপহারে বেশ ভালো লাগছে। এই কয়েক দিন নানা ঝামেলা-ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ঘরে নতুন সদস্য আসার পাশাপাশি এই উপহার যেন এক আলাদা আনন্দ নিয়ে এসেছে।
৬০ বছর আগে আমেরিকায় যাত্রা শুরু করে ডোমিনোজ পিৎজা। অস্ট্রেলিয়ায় ইতোমধ্যে ৩৭ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ডোমিনোজ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নির্বাহী নিক নাইট জানিয়েছেন, ক্রেতাদের সমর্থন ছাড়া এই মাইলস্টোন ছোঁয়া সম্ভভ হতো না। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংস্থা ও তার গ্রাহকদের মাঝে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়ে উঠলো। ডোমিনিজের সাফল্যের আনন্দ ক্রেতাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই নবজাতকটির পরিবারকে এই আকর্ষণীয় উপহার দেয়া হয়েছে।