তাই বলে ৮০ ফুট উঁচু খুঁটির ওপর ৬৭ দিন

কলকাতা টাইমস :
অনেকেই অনেক ধরনের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। কিন্তু এরকম এক বিশ্ব রেকর্ড কেউ গড়তে পারে ভাবা যায় না। তাই করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ভার্নন ক্রুগার। তার এমন কাণ্ডে অনেকের চোখ কপালে উঠে গেছে!
ক্রুগার দক্ষিণ আফ্রিকার ডালসট্রুম শহরের বাসিন্দা। তিনি এমন এক জায়গায় বাস করছেন যা বিস্ময়কর।শখের বসে একদিন, দুদিন হলেও না হয় কথা ছিল- তিনি সেখানে বাস করছেন দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। না, জায়গাটি কোনো দুর্গম পাহাড় চূড়া বা গহীন অরণ্য অথবা গভীর সমুদ্রের তলদেশে নয়, মাটি থেকে ৮০ ফুট উঁচু একটি খুঁটির ওপর স্থাপিত ব্যারেলে অর্থাৎ ড্রামের মধ্যে বাস করছেন তিনি।এটি একটি বিশ্ব রেকর্ড।
৫২ বছর বয়সি ক্রুগার স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, আমি কেন এখানে এসেছি ভুলে গিয়েছি। এখানে আসার ভালো কারণ ছিল। কিন্তু এখানে থাকার পর থেকে সেই কারণটা মনে করতে পারছি না। আমি আনন্দিত। আমার নিজের গড়া রেকর্ড নিজেই ভেঙেছি। ২২ বছর আগে এভাবে ৫৪ দিন জীবনযাপন করেছিলাম। এবার ৬৭ দিন কাটাল। আমি এখন ৮০ দিন এখানে থাকার পরিকল্পনা করেছি।
ব্যারেল বা ড্রামের মধ্যে দাঁড়ানো বা বসা সহজ হলেও সেখানে দিনের পর দিন হাত-পা গুটিয়ে ঘুমানো কষ্টকর। ক্রুগার ৩০ বছর বয়সে ১৯৯৭ সালেও এভাবে ৫৪ দিন থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন। কিন্তু এখন আর তিনি তরুণ নেই। ফলে এবারের বিষয়টি তার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে সাহস হারাননি তিনি। ক্রুগার বলেছেন, ৩০ বছর বয়সে কোনো কিছু না করার আসলে কোনো কারণ নেই। কিন্তু এখন প্রবীণ বয়সে এভাবে ৬৭ দিনের বেশি সময় জীবনযাপন করা সহজ ব্যাপার নয়। তারপরও এই কম জায়গার মধ্যেই মানিয়ে নিয়েছি। প্রথম সপ্তাহটি ছিল সবচেয়ে কষ্টকর। তারপর রুটিনের মতো করে নিজেকে অভ্যস্ত করেছি।
ক্রুগার রাতে কয়েক ঘণ্টা ঘুমান। হাত-পা গুটিয়ে রাখায় শরীরের ব্যথায় বেশিক্ষণ ঘুমাতে পারেন না। তবে আগেরবারের তুলনায় এবার তিনি খুব বেশি নিঃসঙ্গ বোধ করছেন না। কারণ এখন সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। তিনি বলেন, এটি বেশ উঁচুতে। হেলিকপ্টার দিয়ে উঠতে হয়েছিল এবং সম্ভবত একইভাবে নিচে নামতে হবে।
৮০ ফুট উচুঁতে অবস্থিত এই ব্যারেলের মধ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। খাবার নিচে থেকে দড়ি দিয়ে বালতির মধ্যে তার কাছে পৌঁছানো হয়। স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলো থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ব্যারেলের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবস্থা রয়েছে। বজ্রপাত একবার আঘাত হেনেছিল খুঁটিতে, যার চিহ্ন রয়েছে ব্যারেলে।