দিনে রেস্তোরাঁ রাতে ডিজে, ৮২ বছরের ‘তরুণী’ কারনামা
কলকাতা টাইমস :
দেখে কে বলবে এই ঠাকুমার বয়স পেরিয়ে গিয়েছে ৮০। যেই বয়সকে কটাক্ষ করে লোকে বলে আশিতে আসিও না। সেই বয়সেই দিব্যি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ৮২ বছরের সুমিকো লামুরো। কাজ করেন ডাবল শিফটে। দিনের বেলার কাজ পেটের তাগিদে, আর রাত্তিরে মনের তাগিদে। নিজের এই অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে জাপানের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পড়েছে সুমিকোর নাম। বরাবরই জাপানে রেস্তোরাঁ চালাতেন সুমিকো। খাবারের গুণে খদ্দেরদের ভিড় লেগেই থাকত। দিনের শেষে যাবতীয় ক্লান্তি কেটে যেত গান শুনে। নিজে তেমন গাইতে না পারলেও গান হামেশাই পছন্দ সুমিকোর। বিশেষ করে ফিউশন। সেই থেকেই পেয়ে বসে ডিজে হওয়ার নেশা। যার যাত্রা শুরুই হয় সত্তরের কোটা পার হওয়ার পর।
নিজের ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে প্রথমবার ডিজে হিসেবে গান চালিয়েছিলেন সুমিকো। বিষয়টি তাঁর এতটাই ভালো লাগে যে তখনই ঠিক করে নেন ডিজে হবেন তিনি। যেমনি ভাবা, তেমনি কাজ। জাপানের এক স্কুল থেকে রীতিমতো ডিজে হওয়ার ট্রেনিং নিয়েছেন সুমিকো। এখন তিনি দিনে রেস্তোরাঁ মালকিন সুমিকো লামুরা, আর রাতে ডিজে সুমিরক। আর ডিজে সুমিরক যখন জাপানের হোটেল, ক্লাব, রেস্তোরাঁর পার্টিতে গান চালান তখন আপনাকেও কোমর দোলাতে বাধ্য হতে হবে।
শুধু মিউজিক নয় সুমিকোর ফ্যাশন সেন্সও প্রশংসার দাবি রাখে। যখনও তিনি ডিজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তখন নিজেকে সাজিয়ে তোলেন রঙিন মেজাজে। যে মেজাজের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া আজকাল ফ্যাশন সেন্সওয়ালা তরুণ তুর্কিদেরও বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে তো কী হয়েছে? জীবন তো এখনও বাকি রয়েছে। তাই এখনও বিন্দাস স্বপ্ন দেখেন সুমিকো। এবার তাঁর ইচ্ছে আমেরিকায় গিয়ে পারফর্ম করা।