যদি থাকে এই ৯ অভ্যাস, কাঁচা দাঁতও টিকবে না
আগে বুঝলেন না, একটু সাবধানও হলেন না। যদি একটু যত্ন নেয়া হত তবে তো বারোটা বাজে না দাঁতের। একটা কথা মনে রাখা দরকার, শুধু যত্ন নিলেই হবে না, কিছু বদ অভ্যাসের কারণেও দাঁতের ভীষণ ক্ষতি হয়। যদি বদ অভ্যাস পেয়ে বসে তবে তা পরিহার না করা পর্যন্ত সমস্যা পিছু ছাড়বে না। কী সেই বদ অভ্যাস, জেনে নিন-
১) বরফ চিবানো : ঠাণ্ডা জলই শুধু হয় না, সঙ্গে বরফের কিউবও চিবিয়ে খাওয়া চাই। খুবই খারাপ অভ্যাস। এতে দাঁতে খুব সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম ফাটল দেখা দেয়। এই ফাটল ভবিষ্যতে বাড়তে থাকে। ঠাণ্ডা জল অবশ্যই পান করতে পারেন। তবে বরফ, দূরে থাকুন।
২) জিভ ফুটো করা : অনেকের কাছেই এখনকার স্টাইল স্টেসমেন্ট। তারা সময়ের সঙ্গে কতটা তাল মিলিয়ে চলেন, সেটা দেখাতেই এমন কাজ। তবে এটা দাঁত এবং মাড়ি পক্ষে খুব খারাপ। জিভের মাঝে বা ঠোঁটের ওপর দুল পরার সব থেকে খারাপ প্রভাব পড়ে মাড়িতে। কারণ অজান্তে সেগুলি মাড়ির সঙ্গে ক্রমাগত ঘষা থেকে থাকে। তা থেকে মাড়িতে সংক্রমণ হতে পারে। দাঁতের গোড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩) দাঁতকে ‘ওপেনার’ হিসেবে ব্যবহার করা : এটাও সাম্প্রতিক কেতা মারার একটা কৌশল। ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল ধরে দাঁত দিয়ে টুক করে খুলে ফেলা, এ আর এমন কী! প্রত্যাকবার করার সময় এতে দাঁতের ওপর খুব চাপ পড়ে। দাঁতের উপরিভাগের অংশ ভেঙেও যেতে পারে।
৪) পেন, পেন্সিল চিবানো : টেনশন থেকে মনোসংযোগ, এ সব কিছু করার সময় বেচারা পেন বা পেন্সিলের ওপর খুব ধকল যায়। তার সঙ্গে অবশ্যই সেই ধকল নিতে হয় আপনার দাঁতকেও। মনে রাখবেন, এমন কোনো শক্ত জিনিস চিবাবেন না, যা আপনার দাঁতের ওপর উল্টো চাপ দেয়। এর বদলে সুগার ফ্রি চিউইং গাম চিবাতে পারেন।
৫) কাশির সিরাপ : সামান্য সর্দি-কাশি হলেই, সিরাপ মাস্ট। অভ্যাস ত্যাগ করুন অবিলম্বে। বেশির ভাগ কাশির সিরাপেই শর্করার মাত্রা খুব বেশি থাকে, যা দাঁতের খুব ক্ষতি করে। দাঁতের মধ্যে প্লাক জমা, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, মাড়ির সমস্যা হতে পারে।
৬) ঠাণ্ডা পানীয় : একইভাবে ঠাণ্ডা পানীয় দাঁতের ক্ষতি করে অতিরিক্ত শর্করা থাকার কারণে। এ ছাড়াও এতে দাঁতের এনামেলের উপরিভাগ ক্ষয়ে যায়। ফলে ঠাণ্ডা বা গরম কিছু খেলেই দাঁতে খুব ব্যথা করতে পারে। এমনিতেও যেকোনো ঠান্ডা পানীয় শরীরে পক্ষে কতটা খারাপ তা সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে। সর্বোপরি শরীর ভালো রাখতে ঠাণ্ডা সোডা জাতীয় পানীয়ের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
৭) ক্রমাগত স্ন্যাক্স খাওয়া : যখনই সময় পান স্ন্যাক্স খাওয়ার অভ্যাস আছে। বার্গার, পিত্জা, চিপস যাবতীয় যা কিছু আছে তার এক প্রকার ‘নেশা’ রয়েছে আপনার। নিজের অজান্তেই দাঁতের গোড়ায় ক্রমাগত প্লাক এবং ক্ষুদ্র খাবারের কণা জমিয়ে ফেলছেন। এর সঙ্গে যদি মিষ্টি জাতীয় স্ন্যাক্সও খান তা হলে তো সোনায় সোহাগা। দাঁতের সাড়ে সর্বনাশ।
৮) ধূমপান : ধূমপান করার সময় মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যায়। ফলে খুব সহজেই দাঁতের উপরিভাগে প্লাক জমা হয়। এর সঙ্গে মাড়ির সংক্রমণও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওরাল ক্যান্সার হওয়ারও সম্ভাবনা এতে ভয়ানক বেড়ে যায়।
৯) অতিরিক্ত কফি : অতিরিক্ত কফি খেলেও মুখগহ্বর শুকিয়ে যায়। কফিতে থাকা ক্যাফেন এর জন্য দায়ী। ফলে দাঁতের স্বাভাবিক জলীয় ভাব হারিয়ে যায়। ক্ষয়ের মাত্রা এতে বেড়ে যায়। কফির সঙ্গে যদি আবার চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তা হলে আরও খারাপ।