খাওয়া ৯ হাজার, টিপস ৯ কোটি!
কলকাতা টাইমস :
কয়েক দিন আগে স্কটল্যান্ডের ইনভের্যুরিতে অবস্থিত এক ভারতীয় রেস্তোরাঁয় ডিনার সারতে গিয়েছিলেন এক স্কটিশ যুবক। খাওয়ার পর বিল হয় ৮০০ ইউরো, মানে ৯ হাজারের কাছাকাছি। ক্যাশ কাউন্টারে বসে থাকা রেস্তোরাঁ-মালিক আবদুল ওয়াহিদকে ওই যুবক বলেন, তিনি নগদ টাকার বদলে ক্রেডিট কার্ডে দাম মেটাতে চান এবং বলেন, ওয়েটারকে দেওয়ার টিপসটাও যেন ওই সঙ্গে ধরে নেওয়া হয়। যথারীতি কার্ড সোয়াইপ মেশিনে সোয়াইপ করা হয় তার কার্ড।
দেখা যায়, কোনো কারণে টাকার লেনদেন সম্পন্ন হচ্ছে না। ফোন করা হয় ব্যাংকে। ব্যাংক থেকে জানানো হয়, একটা বিশেষ কনফারমেশন-কোড লাগবে ট্রানজ্যাকশন সম্পূর্ণ করতে। ব্যাংক থেকে দেওয়াও হয় সেই গোপন কোড। ওয়াহিদ পুনর্বার কার্ড সোয়াইপিং মেশিন এগিয়ে দেন যুবকের দিকে। কার্ড সোয়াইপ করার পরে যন্ত্রের বোতাম টিপে তিনি নিজেই টাকার অঙ্ক বসান। সেই মতো লেনদেন সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
কিন্তু সেই যুবক রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আবদুল খেয়াল করেন, বিল মেটাতে গিয়ে যুবক দিয়েছেন মোট ১,০০৬,০৮২.০৪ ইউরো। অর্থাৎ ৯ কোটি টাকার মতো। মূল বিল হয়েছিল ৯ হাজার। যুবক চেয়েছিলেন, বিলের সঙ্গে টিপসের টাকাটাও মিটিয়ে দিতে। তা হলে দাঁড়াল, যুবক প্রায় ৯ কোটি দিয়েছেন টিপস হিসেবে। আবদুলের বুঝতে বাকি থাকে না যে, ব্যাংক থেকে দেওয়া কনফারমেশন-কোডটিকে ভুলবশত ওই যুবক টাকার অঙ্কের জায়গায় বসিয়ে দিয়েছেন।
রেস্তোরাঁ থেকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন যায় ওই যুবকের কাছে। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে ফোনে তিনি যোগাযোগ করেন ব্যাংকের সঙ্গে। ব্যাংকও বুঝতে পারে, যা ঘটেছে তা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত। যুবকের অ্যাকাউন্টে তার দেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যুবক তার টাকা ফেরৎ পেয়েছেন নিতান্তই সৌভাগ্যবশত। নেহাৎ আবদুলের মতো সৎ রেস্তোরাঁ মালিকের রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই যুবক, তাই রক্ষা। না হলে নিজের ভুলের জন্য ৯ কোটি খেসারৎ দিতে হত তাকে।