গর্ভে ৬০ বছরের সন্তান নিয়েই আ মৃত্যু থাকবেন ৯৩ বছরের বৃদ্ধা !
গর্ভে রয়ে গিয়েছিল মৃত ভ্রূণ। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। দুই বছর আগে সেই সত্যি তিনি জানতে পারলেন ৯১ বছর বয়সে। যাকে টিউমার ভেবে বসেছিলেন চিলির এস্টেলা‚ সেটা আসলে তাঁর আত্মজর ভ্রূণ। জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জীবনের এই পর্বে পৌঁছে বিস্ময়ের পারদ মাপছেন এস্টেলা গঞ্জালেজ। বলিরেখা দিয়ে ঢাকা শীর্ণ মুখে।
এস্টেলার বাড়ি চিলির ছোট্ট শহর লা বোকায়। দু বছর আগে আগে তিনি পড়ে যান। চিকিৎসকরা এক্স-রে করতে বলেন। প্রথম রিপোর্টে কিছু বোঝা না গেলেও দ্বিতীয় রিপোর্টে ধরা পড়ে‚ এস্টেলার গর্ভে আছে পাথর হয়ে যাওয়া ভ্রূণ। ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম ‘লিথোপেডিওন’ বা ‘স্টোন বেবি’। ব্যর্থ প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা অনেকসময় ঘটে।
দেহের ভিতর কোনো কারণে মারা যায় অপরিণত ভ্রূণ। সেটি দেহেই থেকে যায়। ক্রমে মৃত ভ্রূণটির চারপাশে জমে যায় ক্যালসিফায়েড লেয়ার। এই স্তর রক্ষা করে মাকে। যাতে ভ্রূণের মৃত টিস্যু মায়ের কোনো ক্ষতি না করতে পারে। পাথুরে ভ্রূণ থেকে ক্ষতির ঝুঁকি না থাকলেও এই ভ্রূণই পরবর্তী কালে মা হতে দেননি এস্টেলাকে। চিরদিন তিনি রয়ে গেছেন সন্তানহীনা হয়ে। এস্টেলার আক্ষেপ‚ তাঁর স্বামী জেনে যেতে পারলেন না কী কারণে তাঁদের মাঝে সন্তান আসেনি।
কিন্তু দেহে একটা ভ্রূণ ক’দিন ধরে বড় হলো‚ তারপর সেই বৃদ্ধি থেমে গেল‚ সেটা একবারের জন্যেও এস্টেলা টের পেলেন না‚ এটার রহস্য বুঝতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তাঁরা একে চিকিৎসাশাস্ত্রের বিস্ময় হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন।
প্রথমে চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন‚ এস্টেলার দেহ থেকে ওই ভ্রূণ বাদ দিয়ে দেবেন। কিন্তু পরে তাঁর বয়সের কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। জীবনের বাকি দিনগুলোতেও ‘গর্ভবতী’ হয়েই থাকবেন বৃদ্ধা এস্টেলা।