আমিরের ছোট্ট একটা কাজেই আর ফিরে তাকান নি জুহি
কলকাতা টাইমস :
দু‘জনের জুটিতে মুগ্ধ হননি এমন দর্শক নেই। দুজনের একই সঙ্গে বলিউডে পথ চলা শুরু।পর্দায় তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন দর্শকের মনে ধরেছিল।
প্রথম ছবি হিট করার পর বলিপাড়ার ছবি নির্মাতারা বুঝে গিয়েছিলেন যে, দর্শক পর্দায় জুটি হিসাবে আমির এবং জুহিকে দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তাই ১৯৮৮ সালে ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তাঁদের কাছে একের পর এক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে।
‘হম হ্যায় রাহি প্যার কে’, ‘তুম মেরে হো’, ‘লভ লভ লভ’, ‘দৌলত কি আগ’, ‘আতঙ্ক হি আতঙ্ক’ ছবিতে আমির এবং জুহিকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়। আমির এবং জুহি নব্বইয়ের দশকে পর্দার সেরা জুটি হিসাবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
এতো জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করার পর স্বভাবতই বলিপাড়ার একাংশ দাবি করেছিলেন, দুই তারকা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। যদিও আমির এবং জুহি দু’জনেই এই কথা অস্বীকার করেন।
কিন্তু জানেন কি এমন হিট জুড়িই প্রায় ৭ বছর একে-অপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন। এমনকি দু’জনের মধ্যে কথাও বন্ধ ছিল।
জানা যায়,ছবির শুটিংয়ের সময়ই আমির এবং জুহির বন্ধুত্বে চিড় ধরে। ১৯৯৭ সালে ইন্দ্র কুমারের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইশক’ ছবিটি। এই ছবিতে আমির এবং জুহির পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন অজয় দেবগন এবং কাজল। ‘ইশক’ ছবির শুটিং চলাকালীন আমিরের সঙ্গে জুহির এমন অশান্তি বাধে যে নায়কের সঙ্গে বহু বছর কথাই বলেননি জুহি। অন্য দিকে, আমিরও এড়িয়ে চলতেন জুহিকে।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, আমির শুটিংয়ের মাঝেমধ্যে তাঁর সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করতেন। হাতের রেখা পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন বলে মাধুরীকে জানিয়েছিলেন আমির।
‘ইশক’ ছবির শুটিংয়ের সময়েও নাকি অজয় এবং আমির দু’জনে মিলে জুহির সঙ্গে মজা করেছিলেন। কিন্তু দুই অভিনেতা এতটাই বাড়াবাড়ি শুরু করেন যে, জুহি শেষে কেঁদে ফেলেন। আমিরের উপর রেগেও যান জুহি। তার পর আর নায়কের সঙ্গে কাজ করেননি তিনি। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে আমির এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে, জুহির সঙ্গে মজা করার পর তিনি আমিরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।এমনকি, আমিরের উপর রাগ করে শুটিং করতে যাওয়া থামিয়ে দিয়েছিলেন জুহি। যে দিন এই ঘটনাটি ঘটে, তার পরের দিন সত্যিই জুহি কাজে আসেননি। অভিনেত্রী না আসার কারণে সে দিনের শুটিং বাতিল হয়ে যায়।
আমিরও রেগে যান জুহির প্রতি। ঠাট্টা-তামাশার ঘটনাকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে জুহি গুলিয়ে ফেলেছিলেন বলে ক্ষুব্ধ হন আমির। কাজের সঙ্গে কোনও ভাবেই আপস করা পছন্দ করেন না অভিনেতা।
জুহিকেও এড়িয়ে চলতে শুরু করেন আমির। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ‘‘জুহির সঙ্গে দেখা হলে আমি দূরে দূরে থাকতাম। সামান্য সৌজন্যমূলক কথাবার্তাও হত না আমাদের মধ্যে।’’ ‘ইশক’ ছবির পর একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আমির এবং জুহি। ছবি মুক্তির পর দুই দশকের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও তারকাদ্বয়কে একই পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
বহু বছর কেটে যাওয়ার পর অবশ্য নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়েছেন আমির এবং জুহি। দু’জনে এখনও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও একে অপরের সঙ্গে আর অভিনয় করেননি।