একটি মিশ্রনেই দূর করুন কোলেস্টেরল!
কলকাতা টাইমস :
কিছু কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য দরকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমানে থাকা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি রক্তে বেশি থাকলে হৃদরোগসহ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কোলেস্টেরল একটি পিচ্ছিল মোম ধরনের পদার্থ। এটি শরীরে নার্ভ প্রতিরক্ষা, কোষ এবং কিছু হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। লিভার বা যকৃত এই কোলেস্টেরলের প্রস্তুতকর্তা। তবে খাবার থেকেও সরাসরি এই কোলেস্টেরল আসতে পারে। যেমন- ডিম, মাংস, অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার থেকে।
উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে আপনার রক্তনালীতে এটা জমে উঠতে পারে। যে আর্টারি বা রক্তনালী আপনার হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত পৌছে দেয় তাতে কোলেস্টেরল জমে যায়। রক্তনালীতে জমে যাওয়া কোলেস্টেরল শুরুতে নরম থাকলেও সময়ের সঙ্গে তা শক্ত হয়ে যায় এবং আপনার আর্টারিগুলোকে সরু করে দিতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে আপনার আর্টারি একেবারে বন্ধ বা ছিড়ে যেতে পারে।
যে সমস্ত আর্টারী হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহ করে তাদের কোনটা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সূচনা হতে পারে। আর যে সমস্ত আর্টারী আপনার মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ করে তাদের কোনো একটা বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোকের সূচনা হতে পারে। তাই শরীরের দূষিত টক্সিন এবং রক্তে বাজে কোলেস্টেরল দূর করতে চাইলে রক্তনালি পরিষ্কার থাকা জরুরি।
রক্ত পরিষ্কারের জন্য ওষুধ সেবনের আগে কিছু প্রাকৃতিক দাওয়াই সেবন করা যেতে পারে। রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরল দূর করতে মাত্র একটি প্রাকৃতিক ওষুধই যথেষ্ট। গবেষকদের মতে, এটি দেহের বাজে কোলেস্টেরল কমায়, জটিল রোগ অ্যাথেরোসক্লেরোসিস রোধে সাহায্য করে এবং রক্তনালির দেয়ালের দৃঢ়তা আনতে সাহায্য করে। রাশিয়ায় প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে এই মিশ্রণটি শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
উপকরণ : চারটি লেবু, চারটি সাদা রসুনের কোয়া, তিন লিটার ফুটানো ঠাণ্ডা জল।
যেভাবে করবেন: বীজ ফেলে খোসাসহ লেবু এবং রসুন পরিষ্কার করে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর মিশ্রণটি তিন লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। তিনদিন পর ফ্রিজ থেকে বের করুন।
এবার, মিশ্রণটি প্রথমে এক থেকে দুই চা চামচ করে তিন বেলা খাওয়ার আগে খেতে পারেন। কোনো অসুবিধা না হলে ধীরে ধীরে এর পরিমাণ বাড়াতে পারেন। মাত্র ৪০ দিন এই মিশ্রণ সেবনে আপনার শরীর থেকে দূর হবে ঘাতক কোলেস্টেরল।