চালে শুকোচ্ছে জোড়া মাথার খুলি, ঘরে হাড়গোড়! দেখেই হাড়হিম
কলকাতা টাইমস :
কয়েকদিন ধরেই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তল্লাশি চালাতেই বাড়ির টিনের চালের উপর থেকে উদ্ধার হল এক জোড়া মানুষের মাথার খুলি, সঙ্গে কয়েকটি হাড়ও! বাড়ির ভিতর ঢুকতেই দেখা গেল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুভাষপল্লির দীনবন্ধু মিত্র সরণির ওই বাড়ির বর্তমান মালিক ভিক্টর চক্রবর্তী। বছর পাঁচেক আগে ওই যুবকের বাবার মৃত্যু হয়েছে। নেই মা। স্ত্রী পেশায় রেলকর্মী ছিলেন। তবে বাড়িতে একাই থাকতেন ভিক্টর। খুব একটা মিশতেন না কারো সঙ্গে। আচরণও ছিল অদ্ভুত।
গত কয়েকদিন আচমকা তার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেতে শুরু করেন প্রতিবেশীরা। ক্রমশ বাড়তে থাকে গন্ধের তীব্রতা। সেই কারণেই বুধবার ভিক্টরের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর নিখিল সাহানির নেতৃত্বে। তখনই মেলে মাথার খুলি ও হাড়গোড়।
কিন্তু কোথা থেকে এল ওই খুলি? রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি নয় তো? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে উদ্ধার হওয়া হাড় ও খুলিগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি স্বপন সরকার।
স্থানীয়রা বলছেন, ভিক্টরের আচরণে অসংগতি ছিল। দেখলেই মানসিক রোগগ্রস্ত বলে মনে হতো। এমনকি ওই ব্যক্তি বাইরে থেকে আবর্জনা এনে ঘরে জমাতেন।
ঘটনার রহস্যভেদ করতে ভিক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু তার অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে শুধু মানসিক সমস্যার কারণেই ভিক্টর ঘরে আবর্জনা জমাতেন? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।