৮১ কোটি ভারতীয়ের এই গোপন তথ্য হাজার হাজার ডলারে ডার্ক ওয়েবে
কলকাতা টাইমস :
কোটি কোটি দেশবাসীর আধার কার্ডের তথ্য এখন হ্যাকারদের হাতে। অন্ধকার আন্তর্জালে সেসব তথ্য রীতিমতো নিলাম ডেকে বিক্রি হচ্ছে। দর উঠছে ৮০ হাজার ডলার, যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা।
কীভাবে এই তথ্য চুরি হল? রিসিকিউরিটি হান্টার ইউনিট নামে এক মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, করোনাকালে কোভিড টেস্টের সময় আধার তথ্য জমা দিতে হচ্ছিল মানুষজনকে। ডিজিটাল সার্ভার থেকে সেই তথ্যই হ্যাক করে চুরি হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআরের মতো দেশের শীর্ষ চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোর সার্ভার থেকেই আধার তথ্য চুরি গেছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম বেকায়দায় পড়েছে মোদি সরকার। কারণ, কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার, আইসিএমআর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হাতে ছিল। কাদের গাফিলতিতে তা ফাঁস হল সে নিয়ে তদন্ত শুরু হবে বলে জানা গেছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা আগেই সাবধান করে বলেছিলেন, আধার কার্ডের মাধ্যমে আঙুলের ছাপের মতো অতি ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে জালিয়াতদের হাতে। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণত সম্পত্তি বা অন্যান্য প্রয়োজনে রাজ্যবাসীর কাছ যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয় সরকারের তরফে, তাতে আধার কার্ডের তথ্যও থাকে। পরে এই তথ্য আপলোড করা হয় সরকারি ওয়েবসাইটে। wbregistration.gov.in ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ওয়েবসাইটে এই আধার কার্ডের তথ্য আপলোড করা হয়ে থাকে। কলকাতা পুলিশ এ ব্যাপারেই সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, এই ধরনের ওয়েবসাইটে আধার নম্বর, আঙুলের ছাপ-সহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য আপলোড করার সময় সেগুলি আড়াল করার ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে সহজেই সেগুলো বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কলকাতা পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ওয়েবসাইট থেকে আধার তথ্য চুরির চেষ্টা হচ্ছে।