একসময় জেল খেটেছেন আজকের নোবেলজয়ী

কলকাতা টাইমস :
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার আরো দুজনের সঙ্গে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি। এদের মধ্যে রয়েছেন সস্ত্রীক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রীও এমআইটিতে অধ্যাপনা করেন।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জয়ে আপ্লুত কলকাতার সাউথ পয়েন্ট, প্রেসিডেন্সি এবং দিল্লির জেএনইউ। কারণ এখানকার প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জেনে আশ্চর্য হবেন গোটা বিশ্বে উজ্জ্বল নক্ষত্র অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে একটি অন্ধকার দিকও আছে। এশিয়ার বৃহত্তম তিহার জেলেও ১০ দিন কাটানোর আঁধার । ছাত্র জীবনে এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জেরে তাঁকে তিহারে কাটাতে হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল।
ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৩ সালে জেএনইউ-এর ছাত্রসংসদের সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এর জেরে তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল জেএনইউতে। ঘেরাও করা হয়েছিল উপাচার্যের আবাস। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেএনইউতে বিক্ষোভের জেরেই গ্রেপ্তার করে তিহারে পাঠিয়েছিল তৎকালীন দিল্লির প্রশাসন। ১৯৮৩ সালে ১০ দিন তিহারে কাটাতে হয়েছিল আজকের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে তিহারের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। তিহারে ১০ দিনে কাটানোর সময় অত্যাচার করা হয়েছিল। পেটানো হয়েছিল লাঠি দিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে পরে সেই অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছিল।
তাঁর এই জেল যাত্রা নিয়ে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি অধ্যাপকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল তাঁর।