November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ক্যানসার সহ প্রায় অর্ধশতাধিক রোগের ঔষধ ‘ফুল’ সবজি !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা  টাইমস :

ক্যানসার সহ প্রায় অর্ধশতাধিক রোগের ঔষধ ফুলকপি! ফুলকপি ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। এটি বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। ফুলকপি রান্না বা কাঁচা যে কোনো ভাবে খাওয়া যায়। পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু দেখতে ফুলের মতো বলেই এর নাম ফুলকপি।

এর পাতার উপরিভাগে ক্যানসার নিরোধক উপাদান পেয়েছেন বলে একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন। গবেষণায় দেখেছেন, কোলন ক্যানসারে আ’ক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় এক কেজি ফুলকপি এবং সমজাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে প্রায় ৩০ গ্রাম পরিমাণে খেলে ওই ক্যা’নসারের ঝুঁ’কি অর্ধেক কমতে পারে। আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ফুলকপির কচি পাতা থেকে সংগৃহীত আইসো থায়োসায়ানেটস নির্যাস প্রয়োগে বুকের টিউমারের আকার ও সংখ্যা কমে। এসব টি’উমার ক্যা’নসারে রূপ নেওয়ার আশ’ঙ্কা ছিল।

ফুলকপি বিভিন্ন রং খাওয়ার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম থাকে। ফুলকপির পাতায় প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ক্যালসিয়াম, আয়রন আছে। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কালো কচুশাকের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ, সবুজ কচুশাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ, কলমিশাকের চেয়ে ৬ গুণ, পুঁই ও পাটশাকের চেয়ে ৭ গুণ, পালং ও ডাঁটাশাকের চেয়ে ৮ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। ফুলকপির কচি পাতায় প্রায় সব খাবারের চেয়ে অনেক বেশি আয়রন আছে।

যেমন, সবুজ কচুশাকের চেয়ে ৪ গুণ, ডাঁটা শাকের চেয়ে দেড় গুণ, কলমিশাকের চেয়ে ১০ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ১২ গুণ ও পালংশাকের ৫ গুণ বেশি। ফুলকপির আরো কিছু গুণ সবজির আধিক্যে ফুলকপির নিজস্ব অবস্থান ভিন্ন। নানা গুণে গুণান্বিত এই সবজি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। তাই খাওয়ার আগে জেনে নিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ।ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’। যা ঠাণ্ডাজনিত সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্ব’র জ্ব’র ভাব, সারা শরীরে ব্য’থা ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ঠান্ডায় কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করে। অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া থেকে বাঁচায়। কারণ ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত-মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইড।

এতে দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি ও বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতায়ও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম।ফুলকপিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন। যা র’ক্ত তৈরি, গর্ভ’বতী মায়ের স্বাস্থ্য, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমী মানুষের জন্য অত্যান্ত জরুরি। দেহ গঠনের জন্য রয়েছে প্রয়োজনী আমিষ। ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’। যা জিহ্বায় ঘা হওয়া, তালুর চামড়া ওঠা বা ছিলে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

ফুলকপি ক্যা’ন্সারের জীবাণুর বি’রুদ্ধে যু’দ্ধ করতে স’ক্ষম। স্ত’ন ক্যান’সার, কোলন ও মূ’ত্রথলির ক্যা’ন্সারের জী’বাণুকে ধ্বং’স করে এই সবজি। ক্যা’ন্সারের জী’বাণুকে দে’হ থেকে বের করে দেয়ার জন্য ফুলকপি যথেষ্ট কার্যকরী। তবে কি’ডনির জটিলতায় ভোগা ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শে ফুলকপি খাবেন। এতে আমিষ ও পটাশিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমানে। যা কিড’নির জন্য উপযোগী নয়।

Related Posts

Leave a Reply