February 23, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

রাশি অনুযায়ী নিয়মিত সূর্য দেবতার পুজো করলে কেমন সুফল পান জানা আছে?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
কালে উঠে স্নান সেরে প্রথমে সূর্য দেবতাকে জল দান করতে হবে। তারপর এক মনে সূর্য দেবের মন্ত্রচ্চারণ করে স্বরণ করতে হবে সর্বশক্তিমানকে। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে সুখ-শান্তির সন্ধান তো পাবেনই, সেই সঙ্গে অল্পদিনে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগবে না। তবে এখানেই শেষ নয়, শাস্ত্র মতে সূর্য দেবতার পুজো করলে ইতিমধ্যে আলোচিত সুফলগুলি পাওয়ার পাশাপাশি রাশি অনুসারে আরও কিছু সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যেমন ধরুন.
১. মেষরাশি (অ্যারিস): শাস্ত্র মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিয়মিত সূর্য মন্ত্র জপ করলে বাবা-মা হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়। সেই সঙ্গে গর্ভাবস্থায় কোনও ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই আপনি যদি মেষরাশির অধিকারি হয়ে থাকেন এবং বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাহলে সূর্যদেবকে স্বরণ করতে ভুলবেন না যেন! 
২.বৃষরাশি (টরাস): জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিয়মিত সূর্য প্রণাম করলে সম্পত্তি সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এই সম্পর্কিও বিবাদ মেটার সম্ভাবনাও বাড়ে। শুধু তাই নয়, নানাবিধ রোগ-ব্যাধির খপ্পর থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হয়। তাই নানা কারণে যদি শরীর ভাঙতে শুরু করে, তাহলে নিয়মিত সূর্যমন্ত্র পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
৩. মিথুনরাশি (জেমিনি): এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির অধিকারিরা যদি নিয়মিত সূর্য প্রণাম করেন এবং সেই সঙ্গে সূর্য মন্ত্র জপ করেন, তাহলে কোনও ধরনের অ্যাক্সিডেন্টের কবলে পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যাদের মিথুনরাশি, তারা যদি সূর্য দেবকে নিয়মিত স্মরণ করেন, তাহলে ভাই-বনের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।
৪.কর্কট (ক্যান্সার): তুমুল অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন নাকি? তাহলে নিয়মিত সূর্যদেবকে জল দান করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিয়মিত যদি সূর্য মন্ত্র পাঠ করেন, তাহলে অর্থ কষ্টের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই সূর্য দেবের আশীর্বাদ যদি এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর থাকে, তাহলে ক্রনিক মাথা যন্ত্রণা এবং চোখের নানাবিধ সমস্যা কমতেও সময় লাগে না। 
৫. সিংহরাশি (লিও): ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হোক, এমনটা যদি চান, তাহলে নিয়মিত সূর্য দেবকে স্মরণ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সিংহরাশির জাতক-জাতিকারা যদি নিয়মিত সূর্য মন্ত্র জপ করেন, তাহলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় চোখের পলকে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটতেও সময় লাগে না।
৬.কন্যারাশি (ভার্গো): জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই রাশির জাতিক-জাতিকাদের যদি বিদেশে গিয়ে চাকরি করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে নিয়মিত সূর্য দেবকে জল দান করতেই হবে। শুধু তাই নয়, এমনটা করলে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে।
৭.তুলারাশি (লিবরা): কর্মক্ষেত্রে গজিয়ে ওঠা প্রতিপক্ষদের মারে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে প্রতিদিন সকালে সূর্যদেবকে জল দান করতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে তুলারাশির জাতক-জাতিকারা সূর্য নাম করলে কর্মক্ষেত্রে চুরান্ত সফলতা লাভের সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতেও সময় লাগে না।
৮. বৃশ্চিক (স্কর্পিও): এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির অধিকারির সূর্যমন্ত্র পাঠ করা শুরু করলে কর্মক্ষেত্র হোক কী পড়াশোনা, সবেতেই সফল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে জীবনে চলার পথে আসা নানাবিধ বাঁধার পাহাড় সরে যেতেও সময় লাগে না।
৯. ধনু (স্যাজিটেরিয়াস): বাবা-মার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটার পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণের সুযোগও বৃদ্ধি পায়, যদি এই রাশির জাতক-জতিকারা নিয়মিত সূর্য দেবের পুজো করেন তো। 
১০. মকর (ক্যাপ্রিকর্ন): জ্যোতিষ বিদদের মতে মকররাশির জাতক-জাতিকারি নিয়মিত সূর্য মন্ত্র জপ করলে নানাবিধে রোগের খপ্পরে পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতা এবং অর্থনৈতির সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
১১. কুম্ভরাশি (অ্যাকুয়ারিয়াস): অর্থনৈতিক সমৃ্দ্ধি লাভের পাশাপাশি যদি মনের মতো জীবন সঙ্গী পেতে চান তাহলে নিয়মিত সূর্য দেবের পুজো করতে ভুলবেন না যেন। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকারা যদি সূর্য মন্ত্র পাঠ করেন, তাহলে কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। 
১২. মীনরাশি (পিসেস): মনের মতো চাকরি পেতে, সেই সঙ্গে ঋণের বোঝা থেকে চটজলজদি যদি মুক্তি পেতে চান, তাহলে সূর্য মন্ত্র পাঠ করতেই হবে। প্রসঙ্গত, এই রাশির অধিকারিরা নিয়মিত যদি সূর্য নাম করেন, তাহলে নানাবিধ আইনি জটিলতা থেকে মুক্তলাভের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

Related Posts

Leave a Reply