ঘটনার ৩৩ বছর পর এক ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো মার্কিন আদালত!
কলকাতা টাইমসঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে ১৯৮৫ সালে ঘটে ঘটনাটি। সাত বছরের এক শিশু কন্যার দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন বিলি আইরিক নামক এই ব্যক্তি। কিন্তু সেই নাবালিকাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করেছিলেন এই ব্যক্তি। সেই অপরাধে প্রায় দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অবশেষে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে টেনেসি আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টা ৪৮ মিনিট নাগাদ প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের সাহায্যে তাকে এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন আইনি জটিলতার কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া স্থগিত ছিল টেনেসিতে। প্রায় এক দশক বাদে টেনেসিতে কোনও অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে অপরাধীর শাস্তি মুকুবের আবেদন খারিজ করে দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। আসামী পক্ষের আইনজীবি দাবি করেছিলেন, আইরিক মানসিকভাবে সুস্থ নন। প্রায় ৩০ বছর ধরেই তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন। কিন্তু এই আবেদনে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। বিচারপতি জানিয়ে দেন, আইরিক জেনে বুঝেই এই অপরাধ করেছিলেন। সুতরাং তার কোনও ক্ষমা নেই। অবশেষে প্রায় ৩৩ বছর আগের অপরাধের সাজা বিষাক্ত ইঞ্জেকশনেই পেলেন আইরিক।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে এই মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছিল টেনেসি আদালত। তারপর চলে বিস্তর নাটক। কিন্তু অবশেষে সেই মৃত্যুদণ্ড দিতে সফল হল আদালত। ৫৯ বছরের আইরিককে যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে সেটা আসলে প্যারালিটিক ড্রাগ। যার নাম ভেকুরোনিয়াম ব্রোমাইড। এই ইঞ্জেকশন দিলে প্রথমে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব করে সেই ব্যক্তি। তারপর আস্তে আস্তে প্যারালাইসিস হয়ে যায় সারা শরীর এবং শ্বাসকষ্ট হতে হতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ব্যক্তিটি।