দেড় লাখ ডলারের ফেসবুক পোস্টেই শেষের মুখে এরা !
কলকাতা টাইমস :
ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার আগে জীবনটা সুন্দর ছিল কেনেথ রুথের। এই সাবেক ডেপুটি প্রিন্সিপালের বয়স ৭৪ বছর। সমুদ্রের পাড়ে দুটো মোটেল চালিয়ে স্ত্রী আর নাতি-নাতনিদের সঙ্গেই তার সুন্দর জীবন কাটছিল।
এরপর যা ঘটলো তার জন্য রুথকে টানা ৬ মাস হাসপাতালে থাকতে হল । তার পরিবার এতটাই ভয় পেয়ে গেল যে, যে তারা চলে গেছেন অন্য জায়গায়। এর নেপথ্যে রয়েছে একটা ফেসবুক পোস্ট।
২০১৪ সালের মার্চে ইলেকট্রিশিয়ান ডেভিড স্কট একটি ফেসবুক পোস্ট লেখেন। সেখানে তিনি তার পোস্ট ছড়িয়ে দিতে অনুরোধ করেন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের। পোস্টে লেখা ছিল, যৌন নিপীড়নকারী, সাবধান! এই দানবদরা নাম্বুকাকে (নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি শহর) তাদের অপকর্মের স্থান হিসাবে ব্যবহৃত করছে । ব্লু ডলফিন, নির্ভানা হোটেল এবং ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট তাদের স্থান। এই হোটেলগুলোর সামনে আমাদের সন্তানদের বাস স্টপ রয়েছে?
রুথ হলেন ব্লু ডলফিন এবং নির্ভানা ভিলেজ মোটেলের মালিক। নাম্বুকা হেডসে তার মোটেল দুটোর অবস্থান। মাঝে মধ্যে তিনি জরুরি প্রয়োজনে চুক্তির ভিত্তিতে এখানে থাকার ব্যবস্থা করেন। যেমন কেউ পরিবার থেকে পালিয়ে এসেছেন এমন মানুষদের থাকতে দেন। কিন্তু শিশু যৌন নিপীড়নকারী বা অপরাধীদের থাকতে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
তার ব্যবসা ধ্বংসকারী স্কটের ওই পোস্টের জন্য রুথ তার কাছ থেকে পরবর্তিতে প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষমা আশা করেছিলেন। কিন্তু তা কখনো করেননি স্কট। উল্টো তার জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয় দুইবার।
এরপরই রুথ ডেভিড স্কটের নাম মামলা করেন। রুথ আদালতকে বলেন, তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। প্রথম আঘাতের আগে কেউ একজন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তুমি কি ব্লু ডলফিনের সেই যৌন নিপীড়নকারী?’ এই মোটেলে একের পর এক অজ্ঞাতনামে ফোন কল আসতে থাকে। সেই সেখানে সেক্স করতে চান। নাম্বুকা ভ্যালি ক্রাইম ইনফরমেশন ফেসবুক পেজে এই অভিযোগের কথা প্রকাশ করা হয়।
বর্তমানে নিউ সাউথ ওয়েলস ডিস্ট্রিক্ট জাজ জুডিথ গিবসন অপবাদসূচক ফেসবুক পোস্ট লেখার জন্য একজনকে দেড় লাখ ডলার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু আদালতের রায়ের আগেই রুথের পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।