মদ, গাঁজা, হেরোয়িনের পর এবার নেশার উপকরণ স্যানিটারি ন্যাপকিন !
কলকাতা টাইমসঃ
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলাচ্ছে নেশা। বদলে যাচ্ছে নেশার ধরন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নেশার উপকরণও। নতুন নতুন নেশার উপকরণের সৌজন্যে ‘রঙিন’ দুনিয়ায় বুঁদ টিনএজাররাও। মদ-গাঁজার সঙ্গে সঙ্গে সমান জনপ্রিয় এখন স্যানিটারি ন্যাপকিন! নেশার টানে সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিনের নেশা। স্যানিটারি ন্যাপকিন সেদ্ধ করা তরল পান করেই চলছে অদ্ভুত নেশা!
নেশা চড়াতে কীভাবে চলছে গোটা প্রক্রিয়া? সূত্রের খবর, প্রথমে স্যানিটারি ন্যাপকিনটি আধঘণ্টা জলে সেদ্ধ করা হয়। সেদ্ধ ন্যাপকিন থেকে জল বের করে আলাদা পাত্রে ভরে রেখে ঠাণ্ডা করা হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা রাখার পর একটু একটু করে তেতো ও কালচে তরলটি পান করছেন ইন্দোনেশিয়ার টিনএজাররা। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন গোটা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে এই তরলের। মূলত সস্তার নেশার প্রতি ঝোঁক থেকেই এই নেশার আসক্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। আর্থিক অবস্থা একেবারেই খারাপ, মূলত তাঁরাই এই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে। আসলে ইন্দোনেশিয়ায় একেবারেই সস্তায় মেলে স্যানিটারি ন্যাপকিন। ফলে, সহজলভ্য এই স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে নেশায় হাত পাকাতে শুরু করেছেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ।
ইন্দোনেশিয়া ন্যাশনাল ড্রাগ এজেন্সির রির্পোট বলছে, স্যানিটারি প্যাড জলে ফোটালে, এর মধ্যে থাকা ক্লোরিন ও বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশে যায়। মিশ্রণটি উত্তপ্ত হওয়ার পর রাসায়নিকগুলি বিক্রিয়া করতে শুরু করে। পরে, তরলটি ঠাণ্ডা হলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। স্বাদে তেতো হলেও চড়তে থাকে নেশা। আর এতেই মজেছে ইন্দোনেশিয়ার তরুণ প্রজন্মের একাংশ।