বঙ্গ তারকাদের এহেন প্রেম-কাহিনী শুনে তাজ্জব বনে যাবেন !
কলকাতা টাইমস :
বিচ্ছেদ ব্যাপারটা সত্যি বেদনাদায়ক। কিন্তু আগেকার এমন অনেক সম্পর্ক ছিল যেগুলো হয়তো অধরাই থেকে গিয়েছে৷ হয়তো বা লোক নজরে এলেও অতটা সাড়া ফেলেনি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে কোন কোন সেলেবদের সম্পর্ক টিকে আছে আর কাদেরই বা ইতি টানা হয়েছে তা জানেন কি?
রাজ চক্রবর্তী-মিমি : পরিচালক রাজ চক্রবর্তী সঙ্গে টলি সুন্দরী মিমির সম্পর্কটা বহুদিনের হয়তো ছিলনা, কিন্তু তাদের নিয়ে আলোড়ন ছিল যথেষ্টই। কিন্তু অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে যায়। রাজের বক্তব্য ছিল ‘মিমির কোনও বন্ধুর জন্যই এই বিচ্ছেদ, তবে মিমি যদিও তা অস্বীকার করে জানান যে, সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝির জন্যই হয় এই বিচ্ছেদ’। পরে জানা যায় কথাটা ঠিকই কারণ মিমির বন্ধু শুভশ্রীর তো বর্তমানে রাজ্যের ঘরণী।
জিৎ-স্বস্তিকা : সুপারস্টার জিৎ এবং স্বস্তিকার কেমিস্ট্রি পুরানো হলেও সেটা বেশ মাখো মাখো ছিল। একসময় তাদের দু’জনকে প্রায় দেখা যেত লেট নাইট পার্টি, মলে, এছাড়াও সিনেমার পর্দায়ও। তবে টলি পাড়ার গুঞ্জন একেবারেই মিথ্যা ছিলনা। সত্যিই নাকি প্রেম করতেন তারা। কিন্তু স্বস্তিকার ধারনা ছিল জিৎ এবং কোয়েলের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, আর তার জন্যই ভেঙ্গে যায় জিৎ-স্বস্তিকার সম্পর্ক।
দেব-শুভশ্রী : নায়ক কাম সাংসদ দেব ও শুভশ্রী জুটির তো প্রায় বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরে শুভশ্রীর কিছু অজানা তথ্যের জন্য, যেগুলো নাকি জানতে পেরেছিলেন দেব। তবে সেটা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় কম আলোড়ন হয়নি এই নিয়ে৷ পরে অবশ্য দেবের জীবনে এসে যান রুক্মিণী।
স্বস্তিকা-পরম : স্বস্তিকা এবং পরম এই দুজনের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরির খবর শোনা যায় ‘ব্রেকফেল’ ছবিতে কাজ করার সময়। একসময় পারফেক্ট জুটি বলা হত এই কাপল কে৷ তবে তাদের সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরে যখন স্বস্তিকার দ্বিতীয় স্বামী পরমের বিরুদ্ধে মামলা করে।
রাজ-পায়েল : রাজ চক্রবর্তী নামটা প্রেমিক হিসেবে যেন একটা আলাদা মাত্রা পায় টলি ইন্ডাস্ট্রি তে৷ কারণ মিমির আগেও তার একটা সম্পর্ক ছিল টলি অভিনেত্রী পায়েল সরকারের সঙ্গে৷ মিমিকে ভালো লাগার জন্যই পায়েলকে ছেড়ে দিয়েছিলেন রাজ, এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
বিক্রম-সোনিকা : সাম্প্রতিককালের সবথেকে বেশি চর্চিত দুটি নাম বিক্রম-সোনিকা৷ তবে প্রয়াত সনিকার সঙ্গে তার সম্পর্কটা স্পষ্ট জানা না গেলেও পাওলির সঙ্গে যে তার একটা সম্পর্ক ছিল তা প্রায় সকলেরই জানা। তবে সেই সম্পর্ক টেকেনি বেশিদিন। দু’জনে কেউ কারও জন্য পারফেক্ট ছিলেন না বলেই জানিয়েছিলেন জানিয়েছিলেন তারা৷ তবে পাওলি যে বিক্রমের জীবনের স্পেশাল একজন ছিলেন তা কিন্তু বিক্রম নিজেই স্বীকার করেন।