ভারতের হামলার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয় মৃতদেহ !
কলকাতা টাইমসঃ
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ১২ দিন পর বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারত। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। জঙ্গিদের লক্ষ্য করে চালানো অভিযানে ৩০০-৩৫০ জন জঙ্গি নিহতের দাবি করা হয় ভারতের পক্ষ থেকে।
তবে ভারতের দাবি , বিমান হামলা আসলে বালাকোটে নয় বরং খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের জাব্বা এলাকায় হয়েছে। তবে সেখানে কোনো হতাহতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও হামলাস্থলের কাছাকাছি জইশ-ই-মোহাম্মদ পরিচালিত একটি মাদ্রাসার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
বালাকোটে জইশ ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০’র বোমাবর্ষণের কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩৫টি মৃতদেহ সরিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তানি সেনা। মৃতদের মধ্যে ছিল জইশ জঙ্গি, প্রাক্তন পাকিস্তানি সেনা কর্তা এবং প্রশিক্ষণ নিতে আসা আত্মঘাতী ‘ফিদায়েঁ’ সদস্যরাও। পাকিস্তানের স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই খবর জোগাড় করেছেন ইতালীয় সাংবাদিক ফ্রান্সেসা মারিনো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষদর্শীরা মারিনোকে জানিয়েছেন, ‘‘বোমাবর্ষণের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু ততক্ষণে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পুলিশকেও ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যারা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এসেছিলেন, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী।’’
মারিনের দাবি, অত্যাধুনিক সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার দিয়ে তোলা ছবির মাধ্যমেই ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন,জাব্বা টপের ঠিক নীচে পাহাড়ের গায়ে চারটি জইশ কাঠামো ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। কিন্তু সেই ছবি এখনও সামনে আনেনি ভারত।
মারিনোর জানান, ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, পুলওয়ামা হামলার পরপরই নিয়ন্ত্রণরেখার আশ পাশে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন শিবির থেকে সরে গিয়ে পাকিস্তানের ভিতরে বালাকোটের জাব্বা টপের পাশের মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়েই ছিল এই শিবির বদল। কিন্তু ভারত যে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে বোমাবর্ষণ করতে পারে, সেই ধারণা ছিল না জইশ জঙ্গিদের। সেই কারণেই এই বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হতে হল তাদের।