November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ধূমপানের চাইতেও ক্ষতিকর আগরবাতির ধোঁয়া 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

প্রতিদিনের পুজো দেয়ার জন্য বাড়িতে আগরবাতি বা ধূপকাঠি জ্বলবে না এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেকে আবার এমনিতেই বাড়ি সুগন্ধময়  করে রাখার জন্য আগরবাতি জ্বালিয়ে রাখেন। এছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন মন্দির-মসজিদ থেকে শুরু করে ইউরোপের হিপ্পি আড্ডাতে পর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে নানা কাজে জ্বালানো হয় আগরবাতি। কিন্তু মিষ্টি সৌরভের এই ধোঁয়া যে ধূমপানের চাইতেও ভয়ংকর ক্ষতি করে চলেছে তা কী জানেন আপনি?

শুধুমাত্র সিগারেটের ধোঁয়াকেই সাধারণত আমাদের জন্য ক্ষতিকর মনে করে থাকি। এই ধারণাটা কিন্তু ভুল। আগরবাতির সুবাসিত ধোঁয়া আমরা পছন্দ করলেও এরও আছে মারাত্মক ক্ষতিকর দিক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ক্ষতির পরিমাণ সিগারেটের ধোঁয়ার চাইতেও বেশি।

একটি গবেষণায় দেখা যায়, আগরবাতি বা ধূপের এই ধোঁয়া সিগারেটের ধোঁয়ার চাইতে বেশি মিউটাজেনিক, জেনোটক্সিক এবং সাইটোটক্সিক। এই ভারী ভারী কথাগুলোর অর্থ হলো, ধূপের ধোঁয়া শরীরের কোষে জেনেটিক মিউটেশন ঘটাতে পারে এবং কোষের ডিএনএতে এমন সব পরিবর্তন আনতে পারে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ।

এই গবেষণার তথ্যের আলোকে, যাদের ফুসফুসে কোনো রোগ আছে বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাদের আগরবাতি না জ্বালানোই ভালো। শুধু তাই নয়, ছোট শিশু এবং হবু পিতামাতারও এই ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা উচিৎ। যেকোনো ধরণের ধোঁয়াই শিশুদের ফুসফুস গঠনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। রান্নার ধোঁয়াও বিশ্বজুড়ে মানুষের ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।

কিন্তু আগরবাতির ধোঁয়া সিগারেটের চাইতে ক্ষতিকর কেন হবে? এতে তো নিকোটিন নেই, তাই না? সাধারণত কাঠির ওপর বিভিন্ন সুগন্ধি এসেনশিয়াল অয়েল এবং কাঠের গুঁড়োর প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয় আগরবাতি। একে যখন পোড়ানো হয় তখন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষতিকর বিভিন্ন কণা। এগুলো নিঃশ্বাসের সাথে ফুসফুসে গেলে তৈরি করতে পারে প্রদাহ।

যদিও এখন পর্যন্ত বায়ুদূষণের সাথে আগরবাতির সম্পর্ক নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে লাং ক্যান্সার, শিশুদের লিউকেমিয়া এবং ব্রেইন টিউমারের সাথে এর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

Related Posts

Leave a Reply