জলের নিচে হাত পাতলেই সোনা
কলকাতা টাইমস :
সমুদ্রের নিচে হাত দিলেই মিলছে স্বর্ণের খোঁজ। কপাল ভালো থাকলে স্বর্ণ ছাড়া মিলতে পারে অন্যান্য মূল্যবান ধাতু এমনকি রত্নও। এমন কথা রটতেই অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী এলাকায় সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমিয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রায় সবাই। তাদের লক্ষ্য যেন একটাই। স্বর্ণ কুড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে আর তা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা।
কিভাবে এমন কথা রটে গেল? স্থানীয়রা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় নিভারের তাণ্ডবের পর গত শুক্রবার সকালে চার-পাঁচজন জেলে সমুদ্রের পাড়ে আসেন। তারা দেখতে পান যে, স্বর্ণের মতো দেখতে হলুদ রঙের কিছু জিনিস পড়ে আছে। তারা তা কুড়িয়ে নেন। এরপর নাকি বাজারে বেশ চড়া দামে তা বিক্রিও করেন ওই জেলেরা। এমন খবর প্রকাশ পেতেই তা ছড়িয়ে পড়তে আর সময় লাগেনি। মুহূর্তের মধ্যেই হু হু করে এই খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
অনেকেই ভাবছেন জেলেরা যেহেতু পেয়েছেন তার মানে যেই সেখানে যাবেন সেই হয়তো স্বর্ণ খুঁজে পাবেন। আর স্বর্ণের খোঁজ মিলে গেলে মুহূর্তের মধ্যেই হয়ে যাবেন বিপুল অঙ্কের অর্থের মালিক। সে কারণেই সমুদ্রের তীরে ভিড় জমিয়েছেন সবাই। কেউ সমুদ্রের তীরে বালির মধ্যে স্বর্ণের খোঁজে পাগল, কেউ সমুদ্রের জলের মধ্যে স্বর্ণ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু ওই জেলেরা ছাড়া অন্য আর কয়জন স্বর্ণের খোঁজ পেয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
জেলেদের দাবি, শুধু নিভারের পরেই নয়, অন্যান্য যে কোনও শক্তিশালী ঝড়ের পরই অন্ধ্রপ্রদেশের সমুদ্রের তীরে কিংবা জলে স্বর্ণ পাওয়ার কথা রটে যায়। এর কারণ হচ্ছে, বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ মন্দির জলমগ্ন হয়ে যায়। আর তখনই পুণ্যার্থীদের দান করা স্বর্ণ, মূল্যবান ধাতু, রত্ন ভেসে সমুদ্রে চলে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই কিছু মানুষ ভাবেন সমুদ্রের নিচে বা পাড়ে গেলেই হয়তো মিলতে পারে স্বর্ণ। আর সে কারণেই এমন কাণ্ড বারবার ঘটছে।