অসাধারণ সব ক্রিকেটার, কিন্তু বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি কখনো !
কলকাতা টাইমসঃ
অসাধারণ সব ক্রিকেটার। ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন নিজেদের কীর্তির জেরে। কিন্তু কি নির্মম পরিহাস, কখনোই বিশ্বকাপের মঞ্চে শিকে ছেড়েনি এদের ! এমনই কিছু ক্রিকেটারকে নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
* এলিস্টার কুক (ইংল্যান্ড): ২০০৬ সালে অভিষেক। ১২ বছরের ক্রিকেট জীবনে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৬১ টেস্ট খেলেছেন কুক। ১২৪৭২ রানের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে তার। তিনি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৯২টি। রান ৩২০৪। কুক ছিলেন কিছুটা ধীর প্রকিৃতির। সম্ভবত এই কারণেই তিনি কখনো বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি।
* ভিভিএস লক্ষন (ভারত) : একজন গ্রেট মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন ভিভিএস লক্ষন। যিনি শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুরি এবং রাহুল দ্রাবিড়ের মত গ্রেটদের আমলে খেলেছেন। টেকনিক্যালি উঁচু মানের এবং প্রতিভাধর।
১৯৯৬ সালে অভিষেক। দীর্ঘ ১৬ বছর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৩৪ টেস্টে লক্ষণ ৮৭৮১ রান করেছেন। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে মধ্য মানের একজন খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ৮৮ টি ওয়ানডে খেলে তার রান সংখ্যা ২৩৩৮। মুলত শেহবাগ, যুবরাজ সিং দের দাপটের কারণেই তিনি কখনো বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি।
* জাস্টিন ল্যাঙ্গার (অস্ট্রেলিয়া) : অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা ওপেনারদের ছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তিনি এবং ম্যাথু হেডেন ১১৩ টেস্ট ইনিংসে জুটিতে ৫৬৫৫ রান করেছেন। নিজের ক্যারিয়ারে ১০৫ টেস্টে ল্যাঙ্গারের রান ৭৬৯৬। তবে ওয়ানডেতে তিনি কখনোই সাফল্য পাননি। ল্যাঙ্গার মাত্র আটটি ওয়ানডে খেলেছেন এবং যে কারণে তিনি কখনোই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি।
* ক্রিস মার্টিন (নিউজিল্যান্ড) : ২০০০ সালে অভিষেক। দীর্ঘ ১৩ বছর নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ডান হাতি এই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। ৭১ টি টেস্টে মোট ২৩৩ টি উইকেট শিকার করেন তিনি। কখনোই বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাননি তিনি। মাত্র ২০টি ওয়ানডে খেলে পেয়েছেন ১৮ উইকেট।
* ম্যাথু হগার্ড (ইংল্যান্ড) : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক। আট বছরে খেলেছেন ৬৭ টি টেস্ট ম্যাচ। ঝুলিতে রয়েছে ২৪৮ টি উইকেট। অসাধারণ একজন টেস্ট খেলোয়াড় হয়েও ওয়ানডে ক্রিকেটে সাফল্য পাননি। ২৬ টি ওয়ানডে খেলে মাত্র ৩২ টি উইকেট শিকার করেন হগার্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলে জায়গা পেলেও কোন ম্যাচে সুযোগ পাননি তিনি।