November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কাঁচা খাবার কিন্তু বেশি পুষ্টিকর!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রীর ভাল তো রাখতেই হবে। কিন্তু তাই বলে খেতে হবে কাঁচা খাবার! জানি জানি শুনতে একটু আজব লাগছে। কিন্তু একথা প্রমাণিত হয়েছে যে কাঁচা খাবার থেকে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়, রান্না খাবারের তুলনায়। তাই তো রোজের ডায়েটে অল্প করে হলেও রাখুন কাঁচা খাবার। দেখবেন কেমন নিমেষে চাঙ্গা হয়ে ওঠেন আপনি। সম্প্রতি এক গবেষণা অনুসারে দিনের মোট খাবারের তিন চতুর্থাংশ যদি কাঁচা খাবার খাওয়া যায়, তাহলে শরীর, ভিতর এবং বাইরে থেকে স্বাস্ব্য়কর হয়ে ওঠে।
কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর ফেরানো যাক। যখনই আমরা খাবার রান্না করি তখন সেই খাবারের ভেতরে থাকা বেশিরভাগ নিউট্রিয়েন্টস এবং এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়। বাকি যেটুকু পরে থাকে তাই দিয়ে শরীর তৈরি হয়। ভাবুন একবার, ওইটুকু পুষ্টিুকর উপাদান দিয়ে যদি আমরা এত ভাল থাকতে পারি, তাহলে কোনও খাবারের মধ্য়ে থাকা নিউট্রিয়েন্টস যদি পুরো মাত্রায় আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে কতটাই না ভাল হয়ে উঠতে পারে আমাদের শরীর। এই নিউট্রিয়েন্টস এবং এনজাইমগুলি আমাদের হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে নানা রকমের ক্রনিক ডিজিজের সঙ্গে লড়ে, মাথা যন্ত্রণা কমায়, অ্যালার্জি দূর করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। এখানেই শেষ নয়।
আর্থারাইটিস এবং ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ কমাতেও কাঁচা খাবার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কাঁচা খাবার কখনই প্রেগনেন্ট মহিলা, বাচ্চা এবং বয়স্কদের খাওয়ানো চলবে না। কারণ এদের পক্ষে এমন খাবার হজম করতে পারা অনেক সময় সম্ভব হয় না। ফলে ফুড পয়জেনিং হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা খাবারে কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
১. এনজাইমের পরিমাণ বেশি থাকে: যেমনটা আগেও বলেছি কাঁচা খাবারে প্রাকৃতিক এনজাইম এবং নিউট্রিয়েন্টেস প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা হজম ক্ষমতা ভালো করার পাশাপাশি সার্বিকবাবে শরীরকে ভাল রাখতে সাহায্য় করে।
২. টক্সিনের কুপ্রভাব থেকে বাঁচায়: কাঁচা কাবারে নানা ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন, যেমন কার্সিনোজেন বাসা বাঁধতে পারে না। ফলে নানা মারণ রোগের হাত থেকে শরীর রক্ষা পায়। প্রসঙ্গত, কার্সিনোজেনের কারণে ক্য়ানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩. কার্বোন ডাই অক্সাইডের নির্গমন কমায়: উৎপন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেহেতু এগুলি বাজারে চলে আসে এবং আমরা তা কিনে এনে খাই। ফলে ক্ষতিকর কার্বোন ডাই অক্সাইডের মাত্রা এগুলিতে কম থাকে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা কাঁচা খাবারকে পরিবেশ বান্ধব খাবার হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন।
৪. চিনি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমায়: কাঁচা খাবার খেলে শর্করা খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। তাই বলতেই হয় কাঁচা খাবার খাওয়ার নানা উপকারিতার মধ্য়ে এটি মনে হয় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকাল যে হারে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে শর্করা জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই শরীরের পক্ষে ভালো।

Related Posts

Leave a Reply