তাইওয়ানের কাঁধে বন্ধুক রেখেই চীনকে জব্দ করতে সায় আমেরিকার
চীনকে চাপে রাখতে তাইওয়ানকে আরো অস্ত্র বিক্রি করার প্রস্তাবে সায় দিল আমেরিকা । কিছু দিন আগেই প্রায় ১.৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তাইওয়ানকে বিক্রি করার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিল আমেরিকা। এবার সমুদ্র উপকূলে ব্যবহার করার জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রিতেও রাজি তারা। আমেরিকার এই পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে তাদের সংঘাত আরো বাড়াবে। আগেই তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির প্রসঙ্গে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছিল চীন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, যে সব কোম্পানি তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা করছে চীন। ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর চীন থেকে নিজেদের আলাদা করে নিয়েছিল তাইওয়ান। তৈরি হয়েছিল স্বাধীন সরকার। যদিও তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্রের সম্মান দিতে রাজি নয় চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই তারা মনে করে। বস্তুত, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাইওয়ানকে নতুন করে দখলের কথাও বলেছে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের সরাসরি কোনো চুক্তি নেই। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই তাইওয়ানকে বিশ্বের আরো অনেক দেশের মতোই আলাদা রাষ্ট্রের সম্মান দেয় আমেরিকা। আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের বেশ কিছু অলিখিত সম্পর্কও রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা। বাণিজ্য থেকে অস্ত্র সবরকম সম্পর্কই আছে দুই দেশের মধ্যে।সম্প্রতি তাইওয়ানকে এফ ১৬ যুদ্ধবিমানের সেন্সর, মিসাইল, রকেট লঞ্চারসহ একাধিক অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আমেরিকা। এবার তাদের দেওয়া হচ্ছে দুই দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম। এই অস্ত্রের সাহায্যে যুদ্ধ জাহাজ, বিমান, সাবমেরিন ধ্বংস করা সম্ভব। অত্যাধুনিক এই অস্ত্র জিপিএসের সাহায্যে চালানো যায়।
আমেরিকার বক্তব্য, এই অস্ত্রের সাহায্যে তাইওয়ান তাদের উপকূল রক্ষা করতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দক্ষিণ চীন সমুদ্র অঞ্চলে চীনের নৌবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী। ফলে নিজেদের সুবিধার্থেই তাইওয়ানকে বোয়িংয়ের তৈরি এই অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে রাখল আমেরিকা।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং কমিউনিস্ট পার্টি- সকলেই তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির তীব্র বিরোধিতা করেছে। বোয়িংসহ একাধিক মার্কিন সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার কথাও বলা হয়েছে। যদিও তাতে আমেরিকা অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না। তবে আমেরিকার এই কাজ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।